'৪০ হাজারে লাভ দেড় লাখ টাকা', অসময়ের তরমুজে ভাগ্য বদলাচ্ছে চাষিদের

৩ সপ্তাহ আগে
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মৌসুমের বাইরে তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন স্থানীয় কৃষকরা। অসময়ে আবাদ হওয়া এসব তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে দামও মিলছে বেশি। ফলে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা, আর তাদের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অন্য চাষিরাও।

পাকুন্দিয়ার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদি গ্রামে মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন তরমুজের আবাদ। মৌসুম না হলেও এখানে একাধিক কৃষক অসময়ের তরমুজ চাষ করেছেন। সরজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁশের মাচায় ঝুলছে লাল-সবুজ রঙের তরমুজ। ভারে ছিঁড়ে না পড়ে, সেজন্য প্রতিটি ফল নেট দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন স্থানীয়রা।


গ্রামের কৃষক আবুবকর সিদ্দিক প্রথমবারের মতো ৪০ শতাংশ জমিতে সুইটব্ল্যাক-২ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরমধ্যে ৪০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।


পুরো মৌসুমে আয় হবে প্রায় ২ লাখ টাকা। খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা মুনাফা পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। আবুবকর জানান, 'মৌসুমের বাইরে তরমুজের চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। অন্য ফসলের তুলনায় লাভও অনেক বেশি। আগামীতে আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।'

 

আরও পড়ুন: অসময়ের তরমুজে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষকের মুখে হাসি


এমন সাফল্যে পাকুন্দিয়ার আরও অন্তত ২৫ জন কৃষক অসময়ের তরমুজ আবাদ করেছেন। জমির পাশেই বিক্রি হচ্ছে টাটকা ও সুস্বাদু এসব ফল। ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক থেকে পাইকার সবাই।


চাষপদ্ধতিতেও রয়েছে ভিন্নতা। জমিতে লম্বা মাচা তৈরি করে সারিবদ্ধভাবে মার্চিং পেপার দিয়ে মাটি ঢেকে তরমুজের চারা লাগানো হয়। মাটিতে জৈব সার ব্যবহারের ফলে জমিতে আগাছা হয় না। জুলাই মাসে চারা লাগানোর ৭০ দিনের মাথায় ফলন পাওয়া যায়।


কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্য ফসলের তুলনায় অসময়ের তরমুজে ফলন বেশি, খরচ কম আর লাভও অনেক বেশি। এজন্য কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে। চন্ডিপাশা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, 'গত তিন বছর ধরে এ অঞ্চলে অসময়ের তরমুজ চাষ হচ্ছে। মার্চিং পদ্ধতিতে মাটির গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে, রোগবালাই কম হয়, ফলে উৎপাদন বাড়ে।'


পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-ই-আলম জানান, 'এ উপজেলায় এবার ১৫ বিঘা জমিতে অসময়ের তরমুজ চাষ হয়েছে। এর বাজারমূল্য হবে অন্তত ৬০ লাখ টাকা।'

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন