নেত্রকোনার অন্যতম বড় পাইকারি সবজির বাজার মেছুয়া বাজার। ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে সবজি আসা শুরু হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য বেশিরভাগ সবজি আসে কুষ্টিয়া এবং অন্যান্য জেলা থেকে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ছুটির দিন সকালে পাইকারি এই বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও দাম বেশ চড়া। গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি পটল ৪০-৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ১০-২০ টাকা ও কচুর মুখী ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে স্থানীয় টমেটো ১৩০-১৫০ টাকা, আমদানিকৃত টমেটো ১০০ টাকা, সিম ১৪০ টাকা, ফুলকপি ৯০-১০০ টাকা ও ধনিয়া পাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা!
তবে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৩৫০-৪০০ টাকা বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ১৫০-১৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা বাজারে এখনো বিক্রে হচ্ছে ২০০ টাকার বেশিতে।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে পুরোপুরি স্থানীয় সবজি না আসায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাইকারি বিক্রেতা মজিদ মিয়া বলেন, ‘বাজারে কিছু সবজির দাম কমেছে। যেমন বেগুনের দাম পাইকারি ৫০ টাকা, খুচরা ৬০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা কেজি। তবে সবজির দাম আরও কমতে ১০-১৫ দিন সময় লাগতে পারে। স্থানীয় উৎপাদন বাড়লে দাম অনেকটা কমে যাবে। টমেটো ধীরে ধীরে কমে আসছে, অন্য সবজি আসলেই দাম ৩০-৪০ টাকার মধ্যে হবে।’
খুচরা ক্রেতারা বলছেন, দাম এখনও বেশি। ক্রেতা সুলতান আহমদ জানান, ‘শীতকালীন সবজির দাম অনেক বেশি, মধ্যবিত্তদের জন্য ক্রয় করা কষ্টকর।’
আরেক ক্রেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মানুষ যেখানে দুই কেজি সবজি চায়, সেখানে হাফ কেজি বা তারও কম কিনতে হচ্ছে। বাজারে ৮০ টাকার নিচে সবজি নেই, এত দাম দিয়ে কিনে খাওয়াটা কষ্টের।’
]]>