সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা নদীর ওপর ৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সর্ববৃহৎ ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ মওলানা ভাসানী সেতু নির্মাণ করেছে এলজিইডি। গত ২০ আগস্ট উদ্বোধন হওয়া এই সেতু গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
তবে উদ্বোধনের পরদিন ৩১০ মিটার বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি হওয়ায় সেতুর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা নামলেই এলাকা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে যেত, যা চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ও দুর্ঘটনার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছিল।
দীর্ঘ ২১ দিনের অপেক্ষার পর শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সেতুর প্রায় ৮০ শতাংশ ল্যাম্পপোষ্টসহ সংযোগ সড়কের বিদ্যুৎ পুনরায় চালু হয়েছে। বর্তমানে সেতু ও আশপাশের এলাকা আলোকিত হয়ে উঠেছে এবং রাতের আলোয় সেতু তিস্তার বুকে অপূর্ব সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে।
সেতুর হরিপুর প্রান্তের বাসিন্দা সজল মিয়া বলেন, 'প্রথমে ক্যাবল চুরি, পরে রিফ্লেক্টর লাইট চুরিসহ সেতুতে নিয়মিত বিভিন্ন অপরাধ ঘটছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সেতুর দুই পাড়ে স্থায়ী পুলিশ বক্স প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ নেই মওলানা ভাসানী সেতুতে, সন্ধ্যা নামলেই বাড়ছে অপরাধ
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ২১ দিনের চেষ্টায় সেতুর ৮০ শতাংশ লাইটের বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তার দাবির প্রেক্ষিতে ও জনসাধারণের সুরক্ষায় দুই পাড়ে পুলিশ বক্স স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলছে।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট রাতে ছয়টি ল্যাম্পপোস্টের দুই পাশে ৩১০ মিটার ক্যাবল ও ২৪ আগস্ট রাতে দুই শতাধিক রিফ্লেক্টর লাইট চুরির ঘটনা ঘটেছিল, যা সেতুর নিরাপত্তা সংকট তুলে ধরেছে।
সেতু চালু হওয়ায় যাতায়াত সহজ হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলের মানুষের আশা, আনন্দ ও নিরাপত্তার প্রত্যাশা জেগে উঠেছে। এখন সেতুর আলোয় আলোকিত তিস্তার দুপাড়ের মানুষ সুরক্ষিত পরিবেশের জন্য পুলিশ বক্সসহ নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানাচ্ছেন।