সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এ সহায়তা কামনা করেন তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই যোদ্ধাদের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল কমিশনকে জানায়, ১৭ অক্টোবরের ঘটনাটি ছিল তাদের জন্য সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। তারা জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তারা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ঘটাতে যাননি; বরং তাদের ন্যায্য দাবিগুলো তুলে ধরার জন্যই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: এরপর দেশের জন্য হাত লাগলে তরুণদের ১০০ বার ভাবতে হবে, অনলাইনে সমালোচনা
তাদের অভিযোগ, সেই সময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি সেখানে অনুপ্রবেশ করে মারামারি ও ভাঙচুরে জড়িত হন। জুলাই যোদ্ধারা দাবি করেন, সেই বহিরাগতদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জনের পরিচয় তারা চিহ্নিত করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতির জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈঠকে জুলাই যোদ্ধারা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবি কমিশনের কাছে তুলে ধরেন। তাদের অভিযোগ, তাদের অনেকের কাছে স্বাস্থ্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও গত কোরবানির ঈদের পর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পেতে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা অত্যন্ত অমানবিক।
তারা দাবি জানান, আহত জুলাই যোদ্ধাদের সর্বাবস্থায় চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একটি লিখিত নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে যেন পাঠানো হয়। পাশাপাশি জুলাই পরিবারের সদস্যদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া এবং প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধাকে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেয়ার বিষয়েও তারা জোর দেন।
জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন মো. সোহাগ মাহমুদ, কামরুল হাসান, মুস্তাঈন বিল্লাহ হাবিবী, মারুফা মায়া, মো. আল-আমিনসহ মোট ১৩ জন।
আরও পড়ুন: জুলাই যোদ্ধাদের দাবি মেনে সনদ সংশোধন করা হয়েছে: আলী রীয়াজ
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই যোদ্ধাদের কমিশনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করা সব দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। একইসঙ্গে তাদের সমস্যা সমাধানে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কমিশন সব ধরনের সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে গত শুক্রবার সকালে প্রাচীর টপকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন শতাধিক ব্যক্তি। পুলিশ কর্মকর্তা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের কথায়ও তারা সরছিলেন না। পরে পুলিশ জোর করে তাদের তুলে দেয়।
পরে তারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান; ভাঙচুর করেন পুলিশের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি, আগুন জ্বালান সড়কে। দুই ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর বিকেলে অনুষ্ঠান শুরুর আগে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিক্ষুব্ধদের ঢিল ছোড়াছুড়ি, পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ফাটানোর মধ্যে উভয় পক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৯ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে চারটি মামলা করে পুলিশ।

১ সপ্তাহে আগে
৫








Bengali (BD) ·
English (US) ·