ধৈর্যের বিনিময়ে মহান আল্লাহর ভালোবাসা

৮ ঘন্টা আগে
বিপদ -আপদ, দুঃখ -দুর্দশা মানব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজ সুখ কাল দুঃখ। তবে সব সময় মহান আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর উপর ভরসাই বান্দার একমাত্র মুক্তির পথ।

বিপদ-আপদে হতে হবে ধৈর্যবান। কেননা মহান আল্লাহ সর্বদা ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকেন। মহান আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সম্পর্কে বলেন 

 

নিশ্চয়ই  আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন । (সুরা বাকারা :১৫৩)

 

আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত

 

ধৈর্য ধারণকারী সফল


রাগ মানুষের স্বাভাবিক একটি চরিত্র। তবে কারও রাগ কম আবার কারও বেশী। মানুষ রাগান্বিত তখনই হয় যখন কোন কাজ তার মত বা আদর্শের বাহিরে হয়। তবে রাগের সময় ধৈর্যের সাথে নিজেকে গুটিয়ে রাখাই হল সফলতা। এবং একজন প্রকৃত ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ কুরআনে  বলেন

 

হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, ধৈর্যের প্রতিযোগিতা করো এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো , যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (সুরা আল ইমরান ২০০)

 

ধৈর্য ঈমানের অংশ


ঈমান অনেক বড় এক সম্পদের নাম। ঈমানহীন মানুষের লজ্জা ও ভয়ভীতি কিছুই থাকে না।সে যা খুশি তাই করতে পারে। ঈমান বিহীন মৃত্যু মানে নিশ্চিত জাহান্নাম। আর বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা ঈমানের অর্ধেক। হাদিসে এমনই বর্নিত হয়েছে , হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন , ‘ধৈর্য ঈমানের অর্ধেক।’ (শুআবুল ঈমান ৩১৮০)

 

ধৈর্যের প্রতিদান জান্নাত


জান্নাত প্রত্যেক নেককার ও মুমিনের প্রত্যাশিত এক স্থান। জান্নাত পেতে হলে প্রয়োজন আল্লাহর নেয়া কিছু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্টে আল্লাহকে ভুলে না যাওয়া। 

 

আরও পড়ুন: নামাজে অজু ভেঙে গেলে করণীয়

 

বরং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে , ধৈর্যের সাথে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করা। হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন যে, আমি রসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি , তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

 

যখন আমি আমার বান্দাকে তার প্রিয়তম দুটি জিনিস দ্বারা (অর্থাৎ চক্ষু থেকে বঞ্চিত করে) পরীক্ষা করি এবং সে সবর করে আমি তাকে এ দু’টির বিনিময়ে জান্নাত প্রদান করব। (বুখারি ৫৬৫৩)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন