১১ আগস্ট ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন ইয়াছিন আরাফাত, সৌমিক চৌধুরী, সুসান সানি ও মিজবাহ উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ স্কাউটস ফেনী জেলা রোভার সম্পাদক রফিক আহমদ।
১২ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম কলেজ থেকে কক্সবাজার উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে এই ১৫০ কি.মি পথ অতিক্রম করেন তারা। যাত্রাপথে তারা গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ, ঈদগাহ রশিদ আহমেদ ডিগ্রি কলেজ এবং কক্সবাজার উপজেলা পরিষদে যাত্রাবিরতি ও রাত্রিযাপন করেন।
পরিভ্রমণকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দর্শনীয় স্থান ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তর পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন তারা। স্কাউটিংয়ের শৃঙ্খলা, আত্মনির্ভরতা ও মানবসেবার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই ছিল তাদের এই যাত্রা।
এ সময় তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রাম জেলা রোভার সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিনিয়র রোভারমেট প্রতিনিধি, পটিয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চকরিয়া উপজেলা স্কাউট সম্পাদকসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ও স্কাউট কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: অর্ধশত বছর পর ক্যাম্পাসের বাইরে ঢাবির রোভার স্কাউটের দীক্ষা অনুষ্ঠান
সিনিয়র রোভারমেট ইয়াছিন আরাফাত বলেন, 'এই পরিভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল নেতৃত্ব, শারীরিক সক্ষমতা ও দলগত চেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজে স্কাউটিংয়ের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা। এটি আমাদের জীবনে একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।'
উল্লেখ্য, ‘পরিভ্রমণকারী ব্যাজ’ হলো পিআরএস অ্যাওয়ার্ড অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। স্কাউটদের এই ব্যাজ অর্জনের জন্য পায়ে হেঁটে ১৫০ কি.মি, সাইকেলে ৫০০ কি.মি কিংবা নৌকায় ২৫০ কিমি ভ্রমণ করতে হয়। স্কাউট পরিভ্রমণের এই কার্যক্রম স্কাউটিং ভাষায় ‘র্যাম্বলিং’ নামে পরিচিত।