সরেজমিনে দেখা যায়, ১০০ ফুট ব্রিজের মধ্যে ঝুলে আছে ২৫ ফুট। বাকি ৭৫ ফুটই পানির নিচে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে নিচে বানানো ড্রাম ও বাঁশের সাঁকোটিও। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মেকলী ও ছাটকালুয়া গ্রামের মাঝে কামারের ছড়া খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয় ৩০ বছর আগে। এরপর ২০১৭ সালে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায় ব্রিজের বেশিরভাগ অংশ। পরে নিজেদের চলাচলের জন্য কয়েক দফায় প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। বর্তমানে সে সাঁকোটি হয়ে পড়েছে অকেজো। এতে দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কৃষি পণ্য আনা-নেয়া করতে ঘুরতে হচ্ছে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ। দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত ভাঙা ব্রিজের স্থলে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: হাওড়ে অপরিকল্পিত বাঁধ যেন কৃষকের গলার কাটা, কী বলছে পাউবো?
রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মেকলী গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘ব্রিজের দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ এই ব্রিজের কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন। জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত এটার সমাধান করা হোক।’
কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী বিশ্বাস বলেন, ‘সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙা ব্রিজের জায়গায় ১৩১ ফুটের নতুন ব্রিজ নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৯৫ সালে নির্মিত ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটির ৭৫ ফুট ২০১৭ সালের বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়।