গত শুক্র-শনিবার দুইদিনে কাটা হয় বেশ গাছ ও ডাল। ভাটায় কাঠ ব্যবহার বন্ধ থাকলেও গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের বান্দেরহাটের ইদ্রিস হোসেন মরুর ইটভাটায় পাঠানো হয় ৫০ মণ লাকড়ি। মরু স্বীকার করেন ইউএনওর ডাকা নিলাম থেকে লাকড়ি কিনেছেন। যদিও, প্রথমবার স্বীকার করলেও পরে কথা ঘুরিয়ে ফেলেন তিনি। পরে জানান, বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য অন্য একজন কিনেছেন লাকড়ি।
উপজেলা চত্বরে ঢোকার পথে বিসমিল্লাহ টাওয়ারের মূল ফটকের পাশে বেশ পুরনো একটি রেইনট্রি গাছের ডালসহ অন্য গাছ কাটতে অনুমতি দেন ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার এক ভবনের মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী মন্টু হাজির বিল্ডিংয়ের ওপর কিছু ডালপালা পড়ায় পুরো গাছ কাটতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যাতে মৌখিক সম্মতি দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরওপর ভিত্তি করে গাছ কাটেন মন্টু হাজির লোকজন।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের ফলগাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!
ইউএনও জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গাছ কাটার তদবির করছিল ভবন মালিক। কয়েকদিন আগে তিনি অনুমতি দেন।
এদিকে, উপজেলা সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘তাকে কিছুই জানানো হয়নি’। লোকমুখে শুনেছেন গাছ কাটার কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে কাটতে গেলে তাদেরই কাটার কথা।
নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটায়, বিশেষকরে ঐতিহ্যবাহী স্মারকটি নষ্ট করায় ক্ষোভ জানান স্থানীয়রা। তবে ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারেন না বলে দাবি তাদের।
অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও জাহাঙ্গীর আলমকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদের গাছ হওয়ায় বন বিভাগের অনুমতি লাগবে না। এছাড়া রেজুলেশন করা আছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও একপর্যায়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কিছু লোকসহ ভবন মালিক তার কাছে এলে ডালপালা কাটার অনুমতি দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: সম্পত্তি লিখে নিতে বৃদ্ধ বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ ঘরে রাখলেন মেয়েরা
দুটি গাছের ডালে ৫০ মণ লাকড়ি হওয়া সম্ভব কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি, সরেজমিন পরিদর্শনের পরামর্শ দেন। বিগত দিনে তার করা কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে খোঁজ নিতে বলেন তার সম্পর্কে।
ইটভাটা মালিক স্বীকার করলেও ভাটায় লাকড়ি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন জাহাঙ্গীর আলম। ক্রেতা ৫০ মণ লাকড়ির কথা বললেও ইউএনওর দাবি ৬ থেকে ৭ মণ হবে। প্রয়োজনে নিলাম বাতিল করে ফেরত আনার কথাও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।