শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন শীর্ষক সংলাপে তিনি একথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ছাত্র তরুণরা ধ্বংসের মুখে থাকা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। মতপার্থক্য নিয়েই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সবাইকে।’
৭২ সালের সংবিধানে স্বৈরাচারী কাঠামোর গোড়াপত্তন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংস্কারবিহীন নির্বাচন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে একটা কমিশন প্রয়োজন। যেখানে সরকারি, বিরোধী দল থাকবে। সবক্ষেত্রেই ক্ষমতার ভারসম্য আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একইসঙ্গে চলবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন জোনায়েদ সাকি
ড. ইউনূস বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকরে সব শক্তি নিয়োজিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সব ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’
]]>