এদিকে খুব শিগগিরই শান্তি চুক্তি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধের পরিকল্পনা নিয়ে ফোনালাপ হয়েছে পুতিন ও নেতানিয়াহুর মধ্যেও।
মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের দুই বছরে এসেও শেষ হলো না নিরীহ ফিলিস্তিনিদের দুঃখ আর দুর্দশা। প্রতিনিয়তই ইসরাইলি হামলায় নিহত হচ্ছেন বহু নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ।
ট্রাম্পের নিষেধের পরও নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা। চলছে মূহুর্মুহু বিমান হামলাও। আগ্রাসন চলছে পশ্চিম তীরেও। ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা শান্তিপূর্ন আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করে ১২০টির বেশি জলপাই গাছ কেটে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: গ্রেটা থুনবার্গসহ আরও ১৭১ জন মানবাধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠালো ইসরাইল
এরই মধ্যে মিশরের কায়রোতে চলা হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে আলোচনার প্রথম দিন ইতিবাচক পরিবেশে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রথম দিনের আলোচনা শেষ হলেও শার্ম আল শেখে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের আলোচনা হবে। সেখানে ইসরাইলি প্রতিনিধি দলও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে একমত হয়েছে। এ সময় তুরস্ক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা চুক্তিতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে বলে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
ট্রাম্পের মতে, হামাসসহ সবাই চায় শান্তিচুক্তি হোক। প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস সকল জিম্মি মুক্ত করবে। ইসরাইল ২৫০ জন আজীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ১৭শ বন্দীকে মুক্ত করবে। ইসরাইলি সেনারা গাজা থেকে প্রত্যাহার করবে, হামাস অস্ত্র ত্যাগ করবে, এবং আন্তর্জাতিক প্রশাসন দায়িত্ব নেবে।
গত সোমবার মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা ‘শান্তি’ পরিকল্পনা নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দ্রুত শান্তিচুক্তি করতে উভয় পক্ষকেই চাপ দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহু-পুতিন ফোনালাপে কী কথা হলো
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে ইসরাইল। হামাসও কিছু প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি বড় অমীমাংসিত বিষয় রয়ে গেছে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলছেন, নাগরিকদের জীবন দিয়ে ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে। এটিকে একটি বিশাল মানবিক বিপর্যয় বলেও আখ্যা দেন তিনি। এছাড়া গাজায় ত্রান পৌছাঁনো কঠিন হয়ে পড়ায় জীবন রক্ষাকারী পরিষেবা চালু রাখতে জরুরি তেলের জন্য ৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে জাতিসংঘ।
]]>