মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এ লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আবদুল হান্নান।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরানের সার্বিক পরিচালনায় বক্তব্য দেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রাক্তন পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, পিপি অ্যাডভোকেট হালিম হোসেন ও আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট মাহাবুব-উল-আলম স্বপন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো’তাছিম বিল্যাহ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হোসাইন রনি, মানিক দাস, মুহসিনা হোসেন তুষি, দুরদানা রহমান, শহিদুল ইসলাম, জিপি অ্যাডভোকেট তোতা মিয়া ও স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন ঢালী, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জাকারিয়া মোল্লা ও আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসান মৃধা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আবদুল হান্নান, বই পড়ে আলোকিত জীবন গড়ার গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনই বন্ধ হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম
আর সভাপতির ভাষণে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সারা দুনিয়াতে জেলখানাটি দি ফরমেট বা ডেভেলপমেন্ট কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করা হয়েছে। বাস্তবতা এরকম আমাদের দেশে। আমরা মনে করি লোকজন জেলখানায় পাঠাতে পারলেই বুঝি হয়ে গেলো। আসলে তা নয়। আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত আমরা তা করতে পারিনি। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের একটা প্রচেষ্টা হাজতখানায় সে সমস্ত লোকজন আছে বিভিন্ন বয়সের তারা যেন এখানে সময়টা ভালো কাটে। তারা যেন খারাপ প্রকৃতির সঙ্গে পরস্পর বিষিত না হয়।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এখানে আদর্শিক ও ধর্মের বই আছে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- মানুষ গারদখানায় এসে যেন খারাপ দিকে না যায় এ জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা।
বক্তরা বলেন, বন্দিদের বিচারক কাজের জন্য আদালতের সময় হাজির করা হয়। দেখা যায়, আদালতে অল্প সময় লাগে আর দিনের পুরো সময়টা গারদখানায় অলস বসে থাকতে হয়। কারণ আদালতের কাজ শেষে পড়ন্ত বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় বন্দিদের এক সঙ্গেই জেল খানায় নেয়া হয়। এই অলস সময় যাতে খারাপ ভাবনার পরিবর্তে বই পড়ে নিজেকে আলোকিত বা পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
আদালতে আনিত আসামিদের জন্য কোর্ট হাজতখানা গারতখানা লাইব্রেরির উদ্বোধন হয়েছে।