হাঁটলেই খসে পড়ে ছাদের পলেস্তারা, আতঙ্কে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

৩ সপ্তাহ আগে
ছয় বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও ভাঙা হয়নি ভবন। ঝুঁকি নিয়ে শেরপুর শহরের বাগরাকসা চন্দ্রকান্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করছে শতাধিক শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করলেও মেলেনি সমাধান। তবে, শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার।

বাগরাকসা চন্দ্রকান্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শেরপুর শহরের এই বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটির ছাদ ও দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। অনেক স্থানে বেরিয়ে আছে রড। হাঁটলেই খসে পড়ছে পলেস্তারা। এমন অবকাঠামোতেই চলছে পাঠদান।

 

ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বিকল্প ব্যবস্থা না করায় ওই ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে পড়াশোনা করছে কোমলমতিরা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে করতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিন তলায় হাঁটাহাটি করলে দেয়াল (পলেস্তারা) ভেঙে ভেঙে পড়তে থাকে। এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় সব সময়।

 

চলতি বছরের মে মাসে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ভবনের বেহাল দশার বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হলেও এখনও কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দাবি, পাঠদান কার্যক্রম নিরাপদ ভবনে দ্রুত সরিয়ে নেয়া হোক এবং নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।

 

আরও পড়ুন: অচল শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন, ৬ বছরে ব্যবহার হয়নি একদিনও!

 

শিক্ষকরা বলছেন, পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবনের ভগ্নদশায় আতঙ্কগ্রস্ত অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পান, তাই শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিলে শিক্ষার্থীর জীবন ঝুঁকি কমবে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়বে।

 

 

তবে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার। শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটি কেন এতদিন ভেঙে ফেলা হয়নি, তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। আপাতত কার্যক্রম অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে পত্র দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।’

 

শেরপুর পৌর শহরের বাগরাকসা চন্দ্রকান্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এখানে ১০৮ জন শিক্ষার্থী এবং ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন