রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শাহজাহান সিরাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাজীপুরের সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন ভিকটিম শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমান বানিয়ারচালা এলাকার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শিশু নোমান ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সাথী সুমাইয়া ও সাদিয়াকে নিয়ে খেলার সময় আসামি বাবু ইসলাম তাকে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যার পরে ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায় আশপাশে খোঁজাখুঁজির পর সহপাঠীরা জানায়, বাবু ইসলাম তাকে ডেকে নিয়ে গেছে।
পরে আসামি বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, শিশু নোমানকে হত্যা করে তার মরদেহ স্কুল ব্যাগে ভরে গুম করার উদ্দেশ্যে মহানগরীর সাঁতাইশ এলাকায় একটি ময়লার স্তূপে ফেলে আসেন তিনি। পরবর্তীতে আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশের সহযোগিতায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা হাজী মোহাম্মদ আলী জয়দেবপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে আসামির যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি মজিবুরকে আদালত বেকসুর খালাস দেন।
নিহত শিশু নোমানের বাবা হাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। আমি অভিযুক্ত আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’