কৃষকের হতাশার খবর চোখে পড়ে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের। খবর জানার পর স্বপ্নর প্রতিনিধি গিয়ে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার পিস ফুলকপি কিনেছেন ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায়।
ফুলকপি চাষি রকিব আলী বলেন, ‘একবিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে রয়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ। লাভের মুখ না দেখে উল্টো জমিতে ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। অনেক চিন্তা হচ্ছিল। সেখানে আশার মুখ দেখালো সুপারশপ স্বপ্ন। আমাদের থেকে ১০ হাজার পিস ফুলকপি কিনেছেন তারা। সেখান থেকে আমার কিছু টাকা আয় হয়েছে। স্বপ্নকে অনেক ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: এক কেজি ফুলকপির দাম ১ টাকা!
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘প্রতিবছর এ মৌসুমে মেহেরপুরে ব্যাপকভাবে বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ হয়। হঠাৎ দরপতন হয়েছে। স্বপ্নকে এমন উদ্যোগ নেবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মেহেরপুরের কৃষকদের এই হতাশার বিষয়টি চোখে পড়ে আমাদের। এরপর স্বপ্নর টিম মেহেরপুরের সেই কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ফুলকপি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্বপ্নর সম্মানিত ক্রেতাদের জন্য আজ থেকেই স্বপ্ন আউটলেটে থাকবে মেহেরপুরের সেই কৃষক ভাইয়ের জমির ফুলকপি। বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। তাই কৃষক বাঁচলেই, বাঁচবে দেশ।’