হংকংয়ের বিপক্ষে কেন জিততেই হবে বাংলাদেশকে?

১ দিন আগে
হামজা চৌধুরী-সমিত সোমদের নিয়ে ৪৫ বছর পর এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তবে রাস্তাটা সহজ নয়। তৃতীয় রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় দুই ম্যাচ শেষে ‘সি’ গ্রুপে চার দলের মধ্যে সবার শেষে অবস্থান লাল সবুজদের। মূলপর্বে জায়গা করে নিতে হলে চড়তে হবে টেবিলের শীর্ষে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) হংকংয়ের বিপক্ষে লড়াইসহ হাতে আছে চার ম্যাচ। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচগুলোর কোনোটিতেই পয়েন্ট খোয়ানো যাবে না। এর মধ্যে ঘরের মাঠের দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। 

 

২০২৭ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এএফসি এশিয়ান কাপে অংশ নেবে মোট ২৪ দল। এর মধ্যে আয়োজকসহ ১৮ দল জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাকি ৬ দলের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে। যেখানে ৬টি গ্রুপে ৪টি করে দল একের অপরের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপ সেরা দল জায়গা করে নেবে মূলপর্বে।


‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর, হংকং ও ভারত। মূলপর্বে জায়গা করে নিতে হলে ৪ দলের মধ্যে সবার উপরে থাকতে হবে লাল সবুজদের। সেখানে বেশ পিছিয়েই রয়েছে জামালরা। ২ ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিঙ্গাপুর আর দুইয়ে হংকং। ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে ভারত।

 

বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাটিতে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আর গত ১১ জুন ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।

 

বাংলাদেশের হাতে আছে ৪ ম্যাচ। এর মধ্যে ২টি ঘরের মাটিতে আর বাকিগুলো প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে হবে। বৃহস্পতিবারের ঘরের মাটিতে আতিথেয়তা দেওয়ার পর আগামী ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাঠে খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এরপর ১৮ নভেম্বর ঘরের মাটিতে ভারতকে দেবে আতিথেয়তা। আর সবশেষ ম্যাচে আগামী বছরের ২৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে খেলতে যাবে হামজারা।

 

আরও পড়ুন: শুধু হামজা নয়, হংকং কোচের পরিকল্পনায় পুরো দল

 

বাংলাদেশকে গ্রুপসেরা হতে হলে হাতে থাকা বাকি চার ম্যাচেই জিততে হবে। সে ক্ষেত্রে জামাল ভূঁইয়াদের মোট পয়েন্ট হবে ১৩। তবে ১৩ পয়েন্ট হলেই বাংলাদেশ দলের শীর্ষ স্থান নিশ্চিত হবে না। বাকি দলগুলোর মোট পয়েন্ট ১৩-এর নিচে থাকতে হবে; কোনো দলের পয়েন্ট ১৩ হয়ে গেলে বাংলাদেশকে গোলের দিক থেকে এগিয়ে থাকতে হবে।

 

এখন বাকি দলগুলোর পয়েন্ট যাতে ১৩-তে না পৌঁছায়, সে জন্য কয়েকটা সমীকরণ মিলতে হবে। প্রথমেই শীর্ষে থাকা সিঙ্গাপুরের হিসেব দেখা যাক। ৪ পয়েন্ট হাতে থাকা সিঙ্গাপুরের বাকি চার ম্যাচের দুটি ভারতের বিপক্ষে, একটি করে বাংলাদেশ ও হংকংয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের কাছে হেরে গেলে এবং অন্য তিন ম্যাচে জিতলে সিঙ্গাপুরের মোট পয়েন্ট হবে ১৩। তখন পার্থক্য গড়ে দেবে গোল ব্যবধান। যে কারণে বাংলাদেশ দলকে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাদের মাটিতে বড় ব্যবধানেই জিততে হবে। দুইয়ে থাকা হংকংয়ের বর্তমান পয়েন্ট ৪। বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচে হারলে এবং ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জিতলেও হংকংয়ের মোট পয়েন্ট হবে ১০। অর্থাৎ বাংলাদেশের নিচেই থাকবে।

 

বাকি আছে ভারত। বাংলাদেশ যদি নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতকে হারিয়ে দিতে পারে, দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট (বাকি তিন ম্যাচে জয়ে) পাওয়া সম্ভব। সব মিলিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, বাংলাদেশ দলকে বাকি ৪ ম্যাচেই জিততে হবে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জিততে হবে বড় ব্যবধানে, যাতে পয়েন্ট সমান হলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা যায়।

 

আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে কাল হংকং চ্যালেঞ্জ নিতে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

 

তবে ড্রয়ের ক্ষেত্রে সমীকরণে কিছুটা পার্থক্য দেখা যেতে পারে। কিন্তু ঝুঁকি নিতে না চাইলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। 
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন