‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’-- আজকের পৃথিবীতে ভূপেন হাজারিকার এই ভাবনা কতটা প্রাসঙ্গিক? যুদ্ধ, হানাহানি, সংঘাতে পূর্ণ এই বিশ্বে মানবতার অস্তিত্বইবা রয়েছে কতটুকু?
যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীতে থেমে যায় গুলির শব্দ, কিন্তু থামে না স্বজন হারানো মানুষের আর্তনাদ। আবার কোথাও ঝড়ের রাতে সব হারিয়ে নিঃস্ব জনপদ তাকিয়ে রয় একটু আশ্রয় আর খাবারের প্রত্যাশায়। কোথাও বা আগুনের হাত থেকে বাঁচার আকুতি আবার কোথাও ভবন ধসে থেঁতলে যায় শত শত প্রাণ।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে আড়াই মাসে ১৭৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
এত হাহাকার আর অবিচারের ভিড়ে কিছু মানুষ এগিয়ে আসে এই বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোকে বাঁচাতে, এগিয়ে আসে তাদের জীবনকে কিছুটা সহজ আর নিরাপদ করতে। হানাহানি, বিভাজন আর স্বার্থের ভিড়ে কিছু মানুষ আজও বাঁচে মানবিক মানুষ হয়ে, যারা ছড়িয়ে দেয় মানবতার বার্তা।
মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, এক দল ভাঙচুর করে; জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়, আর আরেরক দল ঠিকই সহযোগিতা করে। যারা সহযোগিতা করে, সেটাকেই আমরা উদ্যাপন করতে চাচ্ছি। যারা ধ্বংস করে, তাদেরকে দিয়ে সব মানুষকে মূল্যায়ন করবো না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে কী আছে?
বিশ্ব মানবতা দিবস আমাদের স্মরণ করায় মানবিক সহায়তার কথা, জাগ্রত করে মানবতাবোধ, যা হয়ে যায় অসুন্দরের বিপরীতে সুন্দরের দৃষ্টান্ত।
]]>