ফিকহে হানাফিতে সোনা, রূপা চাই তা ব্যবহৃত হোক অথবা অব্যবহৃত, একাকী নেসাব পরিমাণ হোক বা একাধিক জাকাত যোগ্য সম্পদকে মিলানোর মাধ্যমে হোক, যদি তা নিসাব পরিমাণ হয়, তাহলে তাতে জাকাত ওয়াজিব।
যদি কেউ আংটি এবং কানের দুল ব্যবহার করে, আর অন্য গহনা ব্যবহার না করে, তারপরও অন্য গহনার সঙ্গে মিলিয়ে সাড়ে সাত ভরি (স্বর্ণের নিসাব) স্বর্ণের মূল্য পরিমাণ হলেই জাকাত আদায় করা ওয়াজিব।
জাকাত যখন চন্দ্রবর্ষ পূর্ণ হবে, তখন স্বর্ণের মার্কেটভেলু অনুযায়ী টাকা নির্ণয় করে লাখে আড়াই পার্সেন্ট; আড়াই হাজার, হাজারে ২৫টাকা এবং শতে আড়াই টাকা করে হিসেব অনুযায়ী জাকাত দেবে।
আরও পড়ুন: খ্রিষ্টান যাজক যেভাবে শৈশবে নবীজিকে চেনেন
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন,
যারা সোনা-রূপা পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে যন্ত্রণাময় শাস্তির ‘সুসংবাদ’ দাও। (সুরা তওবা ৩৪)
হজরত আবু কামিল (রহ.) আমর ইবনে শুআইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন,
এক নারী তার কন্যাসহ রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হন। তার কন্যার হাতে মোটা দুই গাছি সোনার কাকন ছিল। তিনি বলেন, তোমরা কি জাকাত দাও? নারী বলেন, না। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি কি পছন্দ কর যে, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের কাঁকন পরিধান করান? বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে মেয়েটি তার হাত থেকে তা খুলে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে রেখে দিয়ে বলল, এ দুটি আল্লাহ ও তার রসুলের জন্য। (তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ ১৫৬৩)
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·