আফগান ক্রিকেট বোর্ডের কড়া সমালোচনা করলেন কোচ ট্রট

২ ঘন্টা আগে
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) পরিচালক ও নির্বাচকদের কড়া সমালোচনা করেছেন রশিদদের কোচ জনাথন ট্রট। প্রধান কোচ হয়েও দল নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখতে না পারার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আফগানদের সঙ্গে নিজের ভবিষ্যত নিয়েও অনিশ্চয়তা প্রকাশ পেয়েছে তার কণ্ঠে।

বছরের শুরুতেও জিম্বাবুয়েকে তাদের ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। সে দলটা এবার আতিথেয়তা নিতে গিয়ে হেরেছে সবচেয়ে বাজেভাবে। ইনিংস ও ৭৩ রানের হারের পর মুখ খুলেছেন কোচ জনাথন ট্রট। দল নির্বাচনে কোচের মতামত না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পারায় কড়া সমালোচনা করেছেন আফগান বোর্ডের কর্মকর্তাদের।

 

জিম্বাবুয়েভিত্তিক স্পোর্টসকাস্ট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রট বলেন, ‘আমার কাছে দুঃখজনক বিষয় হলো, দল গঠনে আমি কোনো অবদান রাখতে পারিনি। শীর্ষ পরিচালকদের বা প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে আমি কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু দল নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। এটি শুধু বর্তমান দল নিয়ে নয়, গত কয়েকটি দল নির্বাচনেও এমন হয়েছে। এশিয়া কাপে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি, কিন্তু সেটা নিয়েও কোনো যোগাযোগই হয়নি।’

 

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালের খুব কাছে কিংবা গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া। ক্রিকেটে নতুন আফগান রূপকথার অন্যতম নায়ক এ ইংলিশ কোচ। তবে সাম্প্রতিক কিছু দল গঠনে গুরুত্ব পাচ্ছেন না তিনি।

 

আক্ষেপ নিয়ে ট্রট বলেন, ‘একজন কোচ হিসেবে আমি মনে করি, আপনার কিছুটা ধারণা বা কিছুটা অবদান থাকা উচিত। নিশ্চিতভাবে খেলোয়াড়দের একাদশ। যখন আপনার এই ধরনের অবদান থাকে না, যেমনটি আমি অন্য দল এবং অন্য টুর্নামেন্টে পেয়েছি, তখন এটি খুবই দুঃখজনক।’

 

আরও পড়ুন: টানা ১৮ ম্যাচে টস হারলো ভারত

 

৪৪ বছর বয়সী এ কোচ একমাত্র টেস্টে রশিদের না খেলা নিয়েও কথা বলেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ স্পিনারকে না রাখার সিদ্ধান্তও যে কোচের মতামত না নিয়েই নেয়া হয়েছে সেটাও স্পষ্ট তার কথায়।

 

ট্রট বলেন, ‘এটি কোনো কাকতালীয় নয় যে প্রতিবার আফগানিস্তান টেস্ট ম্যাচ জিতেছে, যখন রশিদ খেলেছে। আমরা গত বছরের শেষে রশিদকে খেলতে দেখেছি এবং আফগানিস্তান সেই খেলা জিতেছিল। টেস্টে ম্যাচে আপনার সেরা খেলোয়াড়দের প্রয়োজন। কিন্তু আমি এটাও বুঝতে পারি, অনেক ম্যাচ খেলার জন্য তার শরীরের ওপর চাপটা খুব বেশি পড়ছে। তাকে আসন্ন ইভেন্টের জন্য, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সতেজ রাখতে হবে, তাই আমার কাছে এটি বোধগম্য। এটি তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। আশা করি তারা এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখবে এবং আবার সুযোগ পেলে ভালো খেলোয়াড় হিসেবে ফিরে আসবে।’

 

আফগানিস্তান ক্রিকেটে বর্তমানে নিজের অবস্থান নিয়ে হতাশ ট্রট। ভবিষ্যত কী হবে, সেটা নিয়েও অনিশ্চিয়তা দেখা গেছে তার কণ্ঠে। বিশেষ করে চুক্তির আর মাত্র কয়েক মাস থাকলেও তার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেনি বোর্ড।

 

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আমি যোগাযোগ করতে চাই। আমাকে বলা হয়েছে আমার মেয়াদ টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, স্পষ্টত আরও কয়েক মাস। তারপর দেখব, যদি প্রধান কোচ হিসেবে কাজের ধরনে পরিবর্তন হয়। এখন আমার একমাত্র ফোকাস দলের মধ্যে ছন্দ তৈরি করা, নিশ্চিতভাবে আসন্ন টি-২০ সিরিজ, ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে হারানোটা কঠিন হবে। ছোট ফরম্যাটে একটি দুর্দান্ত সিরিজ এবং দারুণ একটি প্রতিযোগিতা হবে। আপাতত এটাই আমাদের ফোকাসে এবং সেখান থেকে সামনের দিকে চিন্তা করব।’

 

আরও পড়ুন: ভারতের হোটেলে ইঁদুরের উৎপাতে আতঙ্কিত অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটাররা

 

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে আগামী ২৯, ৩১ অক্টোবর এবং ২ নভেম্বর তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে।

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন