পাকিস্তানে এক কেজি টমেটো ৬০০ রুপি!

১২ ঘন্টা আগে
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত বন্ধ থাকায় উভয় দেশেই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম। এক লাফে পাঁচ গুণ বেড়ে ৬০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।

সীমান্তে সংঘাতের জেরে আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ও যান চলাচল বন্ধ থাকার পর পর্যায়ক্রমে খুলতে শুরু করেছে। এতে দুদেশেই বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

 

সীমান্ত বন্ধ থাকায় পাকিস্তানে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে টমেটোর দাম। রান্নায় বহুল ব্যবহৃত টমেটোর কেজি পৌঁছেছে ৬শ রুপিতে। বেড়েছে আফগানিস্তান থেকে দেশটিতে যাওয়া আপেলের দামও।

 

পাল্টাপাল্টি হামলার পর গত ১১ অক্টোবর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে পর্যাক্রমে সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে।

 

কাবুলের পাক-আফগান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকোজাই রয়টার্সকে জানান, প্রতিদিন দুদেশই প্রায় ১০ লাখ ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রফতানির জন্য প্রস্তুত থাকে, যা সবই নষ্ট হয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে পানি দেবে না আফগানিস্তানও, নদীতে বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ

 

পাকিস্তানের রান্নায় টমেটো বহুল ব্যবহৃত একটি সবজি। যেকোনো রান্নায় এটির ব্যবহারের কারণে বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনছেন ক্রেতারাও। তবে তুলনামূলক সরবরাহ কমে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা। চাহিদা মেটাতে ইরান, সিন্ধু ও কোয়েটা থেকে টমেটো আমদানি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

পাকিস্তানে উৎপাদন কমে গেলে ঘাটতি পূরণে আফগানিস্তান থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি সীমান্ত দিয়ে আগে টমেটো এবং অন্যান্য দ্রুত পচনশীল পণ্য আমদানি করা হত। দুদেশের সীমান্তে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার পণ্য আটকে আছে বলে জানান পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এরইমধ্যে আপেল ও আঙ্গুরেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

 

এদিকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েকদিন পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে ট্রানজিট বাণিজ্য কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে বলে ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

 

পাকিস্তানের ট্রানজিট বাণিজ্য অধিদফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কার্গো ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে বাব-ই-দোস্তি বন্ধের পরে ফেরত পাঠানো নয়টি যানবাহন ক্লিয়ার করা হবে।

 

দ্বিতীয় ধাপে এনএলসি টার্মিনাল থেকে ফিরে আসা ৭৪টি যানবাহন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তৃতীয় ধাপে ইয়ার্ডে পার্ক করা ২১৭টি যানবাহন আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন