স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ফেনী ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ একাধিক দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে তারা শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন: ‘মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন মানি না, মানবো না’, ‘ছাত্র আন্দোলন দুর্বার হোক, ভাড়া ক্যাম্পাস শেষ হোক’, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাস মানতে হবে, প্রতারণা ভাঙতে হবে’, ‘আজকের সংগ্রাম, আগামী প্রজন্মের অধিকার’, ‘শিক্ষা ও ব্যবসা একসাথে চলে না’।

 

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে: স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বই সংযোজন, মুট কোর্ট রুম ও ছাত্র সংসদ গঠন, এবং রেজিস্ট্রেশনে জরিমানা বন্ধকরণ।

 

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা ১৫ দফা দাবি পেশ করেছি। শুরুতে প্রশাসন যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে আশ্বাস দিলেও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে স্থায়ী ক্যাম্পাস না হলে ইউজিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘রেড লিস্ট’-এ ফেলতে পারে, তখন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’

 

আরও পড়ুন: ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সভাপতি বিগ্রেডিয়ার নাসির

 

কাজী আল-আমিন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, এই দাবিগুলো শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্যও জরুরি। তিনি বলেন, ‘বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখব।’ৎ

 

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২১ অক্টোবর তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারিতেও একই দাবিতে আন্দোলন হলেও প্রশাসনের আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি।

]]>