বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকেই রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ। তবে সেনাবাহিনীর অ্যাকশনে প্রধান সড়ক থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে হামলাকারীরা। তারপরও সেনাবাহিনী ও পুলিশের দিকে দফায় দফায় ইটপাটকেল ছুড়ছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছে হামলাকারীরা। গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা হ্যান্ড মাইকে সবাইকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলছেন। রাস্তার পাশের বাড়িঘরের জানালা দরজা বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের কঠোর অ্যাকশনে অনেকটাই পিছু হটেছে হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী-পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ৪ প্লাটুন বিজিবি
এদিকে, সকালে সমাবেশ শুরুর আগে একবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর সেখানে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছে। সবাই ঠিকঠাক বক্তব্যও দেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশস্থল।
সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ১৪৪ ধারা জারি
এর আগে দুপুর ২টার দিকে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সবাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলাম, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানের মধ্যে দিয়ে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানান।
মঞ্চে উঠে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়।
সকালে সদর উপজেলায় পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতেও হামলা করা হয়।
এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে জেলার বিভিন্নস্থানে নাশকতা, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সদর উপজেলা কংশুর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
]]>