পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, ঢাকা থেকে ৭৫ জন পর্যটক নিয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এমভি দি এক্সপ্লোরার’ জাহাজটি শনিবার সকালে সাগরপাড়ে সুন্দরবনের কচিখালী পর্যটক স্পটে নোঙর করে। ওই জাহাজে থাকা পর্যটকরা নৌকায় করে ডিমেরচর সিবিচে ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে পর্যটক মাহিত আব্দুল্লাহ তার বাবা শেখ সুলতান মাহমুদ আসাদ ও মায়ের সঙ্গে সমুদ্রে গোসল করতে নামেন।
কিছুক্ষণ পর আকস্মিকভাবে মাহিত সমুদ্রে তলিয়ে যায়। জাহাজ স্টাফ ও বনরক্ষীরা তাৎক্ষণিক মাহিতকে উদ্ধারে সমুদ্রে নেমে তার খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মাহিতকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাগরে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
ট্যুর অপারেটর অব সুন্দরবন অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াস) সেক্রেটারি নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, পর্যটক নিয়ে জাহাজ ‘এমভি দি এক্সপ্লোরার’ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে। জাহাজটি সুন্দরবন ঘুরে রোববার রাতে খুলনায় পর্যটকদের নামিয়ে দেয়ার কথা ছিলো। নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধারের জন্য মোংলাস্থ নৌবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে নৌবাহিনী ডিমেরচরে রওয়ানা হয়েছেন বলে টোয়াসের সেক্রেটারি জানিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, ডিমেরচরে সমুদ্রে নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধারে স্পিডবোট নিয়ে বনরক্ষীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং এ বিষয়ে নৌবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টা পার হলেও জাফলংয়ে নিখোঁজ সুফিয়ানের সন্ধান মেলেনি
তবে সাগরপাড়ে গোসলে নামাটা ঠিক হয়নি। চরের অনেক স্থানে ডুবন্ত চোরাবালু রয়েছে, হয়তোবা এসব স্থানে পড়ে গেছেন। এ ছাড়া সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল এলাকায় কুমির বিচারণ করছে, অসাবধানতা বসত কুমিরেও টেনে নিতে পারে৷ তবে যে সব পর্যটক সুন্দরবনে ভ্রমণে আসেন, তাদের সাবধানতা অবলম্বনে সাগরে বা বনের গহীনে যেতে দেয়া হয় না।