মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক নির্জন কুমার মিত্র তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ দিকে এ মামলায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতার শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
জানা যায়, আজ বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন শুনানির সময় সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাহারুল, মসিবুর রহমানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন দ্রুত বিচার আইনের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী শাওন হত্যায় ডিবির সাবেক এসআই কনক রিমান্ডে
এর আগে গেলো ২৯ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আকবর আলী আদালতের এই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম ও সাবেক পিপি খায়রুল কবির রুমেনও একই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির দুই মামলায় কামরুল ৪ দিনের রিমান্ডে
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্টে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলী। জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ এই ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ইতোমধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১২০ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এম এ মান্নান ও মুহিবুর রহমান মানিকসহ কিছু নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।