মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, জহুর আলীকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারি আলোচিত ফেলানী হত্যাকান্ডের দিন আবারও এক বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
বিএসএফ মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে বিজিবিকে। তারা জানায়, কিভাবে জহুর আলী মারা গেছেন তা তদন্ত করছে ভারতীয় পুলিশ। তদন্ত শেষ হলে মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো মরদেহে ছবি দেখে বাল্লা সীমান্ত এলাকার ডুলনা গ্রামের মনছুব আলীর ছেলে জহুর আলীর বলে নিশ্চিত করে পরিবারের লোকজন।
বিজিবি জানায়, বিভিন্ন মহল থেকে খবর আসে এ ধরণের একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে ম্যাসেজ পাঠানো হলে তারা মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজিবির বাল্লা গুইবিল সীমান্তের ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা মরদেহ পাওয়ার ব্যাপারে বিএসএফকে তথ্য জানানোর অনুরোধ করেছি। তবে কবে হস্তান্তর করবে তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮ বস্তা গাঁজা উদ্ধার
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক চৌধুরী জানান, জহুর আলী ঢাকায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। কিছু দিন আগে তিনি ঢাকা থেকে কিছু লুঙ্গি নিয়ে বাড়িতে আসেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) সীমান্ত এলাকার নালুয়া চা বাগানে লুঙ্গি বিক্রি করতে যান তিনি। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে মরদেহের ছবি দেখে তার পরিবার নিশ্চিত হয়েছেন।
]]>