বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে সিলেটের চাঁদনী ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১০টায়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, এবার দেবী দুর্গার আগমন হাতির পিঠে চড়ে, দশমীতে দেবীর প্রস্থান ঘটেছে দোলায় চড়ে।
এর আগে, সকালে দশমীর লগ্নে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে সিঁদুর দেয়ার মাধ্যমে সিঁদুর খেলায় মাতেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় সব অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রার্থনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিভিন্ন সংঘের উদ্যোগে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। দর্পণ বিসর্জন আর দেবী আরাধনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় দশমীর আচার অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাওয়া বহরে বাসের ধাক্কা, আহত ৫
সিলেটে এবার প্রথমবারের দক্ষিণ সুরমার জৈনপুরে শ্রী শ্রী মহালক্ষী গ্রীবা পিঠে দুর্গা মন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কুমারী পূজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। মহ নবমীর দিন সকাল সাড়ে ১০টায় পূজা শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১১টায়। পরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয় মণ্ডপে আসা লাখো পূর্ণার্থীর মাঝে।
বিজয়া দশমীতে বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থেকেছে। এছাড়াও পাঁচ দিনব্যাপী এ দুর্গোৎসব যেন নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিসর্জন দেখতে ইছামতীর তীরে দু’দেশের মানুষের ভিড়
এ বছর জেলায় ৬১৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট মহানগরে সার্বজনীন ১৪২টি ও পারিবারিক ২০টি মিলিয়ে মোট ১৬২টি এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার্বজনীন ৪২৭টি ও পারিবারিক ২৯টি মিলিয়ে মোট ৪৫৬টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
]]>