সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৮

৩ সপ্তাহ আগে
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্রুজ অধ্যুষিত সোয়েইদা প্রদেশে গত কয়েকদিনের সাম্প্রদায়িক সংঘাতে অন্তত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপির।

এসওএইচআরসির তথ্য মতে, নিহতদের ৯২ জন সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্য। এর মধ্যে ২১ জন সিরীয় সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ১৩৮ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং ১৮ জন বেদুইন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

 

গত রোববার (১৩ জুলাই) দামেস্ক অভিমুখী মহাসড়কে সুন্নি বেদুঈন গোত্রের সশস্ত্র সদস্যরা একজন দ্রুজ গোত্রীয় সবজি বিক্রেতাকে অপহরণ করেন। এরপর প্রতিশোধমূলক পাল্টা অপহরণ শুরু হয়। সেখান থেকেই 
সংঘাতের সূত্রপাত।

 

অপহরণের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা এক পর্যায়ে মুক্তি পেলেও সংঘাত বন্ধ হয়নি। গত সোমবার দিনজুড়ে সোয়েইদা শহরের বাইরে সংঘাত অব্যাহত ছিল। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা (আগের নাম আবু মোহাম্মদ আল জোলানি) নেতৃত্বাধীন সরকার সংঘাত বন্ধে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি অস্ত্র কোম্পানির বিজ্ঞাপনে গাজা গণহত্যার ভিডিও

 

যেমন বাড়তি সেনা মোতায়েন এবং বেসামরিক মানুষদের জন্য নিরাপদ করিডর তৈরি। সরকারের এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরু হলে বিষয়টি হস্তক্ষেপ করে ইসরাইল। সোমবার সিরীয় সেনাবাহিনী সাজোঁয়া যান ও ট্যাঙ্ক নিয়ে সোয়েইদা অভিমুখে রওনা হয়, তখন ইসরাইলি বাহিনী বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

 

ইসরাইল বলছে, তারা যেকোনো মূল্যে সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। দ্রুজরা নিজেদেরকে শিয়া ইসলামের একটি শাখা বলে দাবি করে। লেবানন, জর্ডান ও ইসরাইলেও এদের অনেক অনুসারী আছে। 

 

যদিও এসব হামলায় কতগুলো ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে বা কতজন সেনা হতাহত হয়েছে, তা জানানো হয়নি। তবে আরব দেশগুলো ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। 

 

সুন্নি বেদুইন ও দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত নতুন নয়। এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে দামেস্ক-সোয়েইদার দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে দ্রুজ যোদ্ধা ও সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাতে ১০০ জনেরও বেশি নিহত হন।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ার সামরিক সদর দফতরে ইসরাইলের হামলা!

 

জানা যায়, আগের সংঘাতে সুন্নি বেদুঈনরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে দ্রুজদের বিরুদ্ধে লড়েছিল। মে মাসের শেষের দিকে সংঘাতের অবসান ঘটাতে স্থানীয় রাজনীতিক ও আধ্যাত্মিক নেতারা আলোচনার মাধ্যমে সওয়েইদার নিরাপত্তার ভার দ্রুজ যোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন। তবে বেশ কয়েকটি এলাকায় সশস্ত্র বেদুঈনদের উপস্থিতি থেকে যায়।

  

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন