সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৮০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এছাড়া সরকারি বাহিনী ও রাশিয়ার বিমান হামলায় ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও এর মিত্র গোষ্ঠীগুলো বলেছে, গত বুধবার থেকে লড়াই শুরু হওয়ার পর তারা আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের কয়েকটি ছোট শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনীগুলো ‘বড় ধরনের সন্ত্রাসী’ হামলা মোকাবিলা করছে এবং বিদ্রোহীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত ৩৬
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা জানিয়েছে, লড়াইয়ে উভয় পক্ষের ১৮০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সরকারি বাহিনী ও রাশিয়ার বিমান হামলায় বিদ্রোহী–অধ্যুষিত এলাকায় কমপক্ষে ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, দুই দিনের লড়াইয়ে ১২১ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই এইচটিএসের সদস্য। এ ছাড়া ৪০ জন সরকারি সেনা ও ২১ জন মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়েছেন।
সংস্থাটি আরও জানায়, বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর ৪৬তম রেজিমেন্টের ঘাঁটি এবং আটটি গ্রাম দখল করেছেন। তারা আলেপ্পো ও রাজধানী দামেস্কে যুক্তকারী মহাসড়কের একটি এলাকা ও একটি মোড় দখলে নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রে
দেশটিতে ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে সরকার দমন–পীড়ন চালালে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এর পর থেকে এ লড়াইয়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
শুধু ইদলিবই এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখানে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। তাদের বেশির ভাগই চলমান সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
২০২০ সালে সরকার আবার ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে তুরস্ক এবং আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি সমঝোতা হয়। এরপর বড় পরিসরে সহিংসতা কমে এলেও মাঝেমধ্যে সংঘর্ষ, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে।
]]>