পরে বিভিন্ন সাইটে সাবস্ক্রাইব করলেই ১০০ টাকা করে জমা হতে থাকে অ্যাকাউন্টে। ভিকটিমের পেছনে এভাবে চক্রটি ৮০০০ থেকে ১০০০০ টাকা ইনভেস্ট করে। এভাবে প্রতারক চক্রের সদস্যদের প্রতি শুরু হয় বিশ্বাস।
পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রলোভনে প্রতারক চক্রের ডাবল বেনিফিট টাস্ক প্ল্যান, হোমওয়ার্ক প্ল্যান, ক্যাশব্যাক প্ল্যানের মতো ভুয়া প্ল্যানে কনভিন্সড হয়ে সরল বিশ্বাসে টাকা ইনভেস্ট করতে থাকেন ভিকটিম। লভ্যাংশের মাত্রা দেখে আরও অনুপ্রাণিত হন।
বিপত্তি বাধে টাকা ক্যাশ আউট করতে গেলে। তখন সিস্টেমের সমস্যা, সার্ভার ডাউনের কথা বলে টালবাহানা করে এবং পরবর্তী কাজগুলো সম্পন্ন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৩০ মামলার আসামি গ্রেফতার
এভাবে প্রতারক চক্র এক ভিকটিমের কাছ থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ টাকা হাতিয়ে নেয়।
বিষয়টি নিয়ে খিলগাঁও থানার দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী। মামলা করলে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে সাইবার পুলিশ সেন্টার ও সিআইডি।
সাইবার মনিটরিং টিম বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রতারক চক্রের এক সদস্য মো. আব্দুল আল মাসুমকে (৩০) চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
পরে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১৭টি চেকবই জব্দ করে।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ, রক্ষা পেলেন বিদেশগামী শত শত যুবক!
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, প্রতারণার কাজটি দুবাই থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আব্দুল আল মাসুমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
]]>