তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার জানানোর পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, গেট খালাসির পদ অনেক দিন ধরে শূন্য রয়েছে। অভিযোগ পেলে স্লুইস গেট সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং ভেড়িবাঁধে পাইপ ও বক্স অপসারণের কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরায় বন্যার হাত থেকে রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। নদ-নদীর পানি ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হয় স্লুইস গেট। প্রথম দিকে এসব গেট পরিচালনার জন্য গেট খালাসি নিয়োগ দেয়া হলেও প্রায় ২৫ বছর আগে এ পদ বিলুপ্ত করা হয়। ফলে ধীরে ধীরে স্লুইস গেটগুলো অকেজো হয়ে পড়ে।
অপরদিকে স্থানীয়ভাবে গেট রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং তৈরি হয়েছে। তার ওপর অবৈধভাবে ভেড়িবাঁধ কেটে পাইপ বা বক্স বসিয়ে মাছ চাষ করায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন মানুষ।
আশাশুনি উপজেলার খাজরা-আমাদি সড়কের ভেড়িবাঁধ কেটে দুটি অবৈধ বক্স গেট বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তারা। এ কারণে স্থানীয়রা অবৈধ বক্স গেটগুলো বন্ধের দাবি তুলেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় দুই বাড়িতে দুই কোটি টাকার চুরি
এক মৎস্য ঘের মালিক জানান, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন কিনা তা জানেন না।
খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘স্লুইস গেটের নাট-বল্টু কেটে ফেলার ঘটনা স্বার্থান্বেষী মহল করেছে। স্লুইস গেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোকবল নিয়োগ জরুরি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, ‘গেট খালাসির পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। অভিযোগ পেলে স্লুইস গেট সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভেড়িবাঁধে পাইপ ও বক্স অপসারণের কাজ চলছে।’
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘স্লুইস গেট রক্ষণাবেক্ষণে জনবল না থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যর্থতা। ভেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বা বক্স বসানো ভেড়িবাঁধ ভাঙনের অন্যতম কারণ।’
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলার ৬৮৩ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধে ২২২টি স্লুইস গেট রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গেট মেরামতের কাজ চলছে। বর্তমানে ৯টি স্লুইস গেট নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, অকেজো গেটের সংখ্যা আরও বেশি।
]]>