সপরিবারে সময়ে এসে রিপন মিয়া জানালেন সেদিন কী ঘটেছিল

১ সপ্তাহে আগে
সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় রিপন মিয়া। তবে গত তিনদিন ধরে ফেসবুকে তাকে ঘিরে আলোচনাটা অন্যরকম। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ-এর প্রতিবেদনে তাকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ উঠে আসে। যেখানে দেখানো হয়েছে, তিনি বাবা-মায়ের দেখভাল করেন না এবং স্ত্রী–সন্তানদের অস্বীকার করেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিপন। সময় সংবাদে সপরিবারে উপস্থিত হয়ে তিনি জানিয়েছেন, সেদিন কী ঘটেছিলো।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সময়ের গল্প ফেসবুক পেজ এবং সময় এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে তাদের নিয়ে অনুষ্ঠানটি প্রকাশ করা হয়।

 

রিপন দাবি করেন, ঘুম থেকে উঠে চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। এ সময়ে কয়েকজন সাংবাদিক এসে ক্যামেরা ধরেন, আর তাকে মজা করতে বলেন।


একপর্যায়ে তারা আমার পরিবার নিয়ে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করতে থাকে। তারা যে এখানে আসার আগে আমার বাড়িতে গিয়েছিল, তা জানায়নি। তারা বলতে থাকে, আমি আব্বু-আম্মুকে দেখি না, বউ–বাচ্চার কথা কাউকে বলি না। এরপর আমার মাথা গরম হয়ে যায়। আমি মূর্খ, গুছিয়ে কথা বলতে পারি না, এই কারণেই কিন্তু সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলি না।। তবে উনারা ভিডিওতে আমার সব কথা রাখেননি। আমি অনেক কথা বলেছি উনাদের সাথে। সব কথা ভিডিওতে নাই।



এটিএন নিউজের প্রতিবেদনে যে অভিযোগগুলো উঠেছে সে বিষয়ে রিপন বলেন, ‌‘আমার অনেক শত্রু। সব জায়গায়। তারাই এসব করেছে। আমার মা-বাবাকে ভুল বুঝিয়েছে। তবুও যদি ভুল থাকে মাফ করে দিয়েন।’


আরও পড়ুন: লাইভস্ট্রিমের সময় ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত, চীনা কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিহত

 

টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বিয়ে ও স্ত্রীর কথা অস্বীকার করেন রিপন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেড় বছর আগে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ভাইসাবের ভিডিওতে আমি বিয়ে, বউ নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু উনারা আমাকে এত জেরা করছিলেন, শেষে আমি তেড়ামি করে বলছি, আমি বিয়ে করিনি।’

 

 

সময়কে রিপম মিয়া বলেন, ‘আমি পেশায় কাঠমিস্ত্রী, কাজের ফাঁকে মজা করতে ফেসবুকে ভিডিও বানাই। কনটেন্ট আমার পেশা না। আজকে আমার ফেসবুক পেজ চলে গেলেও কাল আমি কাঠমিস্ত্রীর কাজই করবো। আপনারাও কাজ করেন, হাহাহা এটাই বাস্তব। আই লাবিউ রিপন মিয়া।’

 

এসময় রিপনের মা কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমি নিজ হাতে আমার ছেলের জীবন শেষ করে দিলাম। খাওয়া দাওয়া ঘুম সব চলে গেছে। আমি কী ভুল করেছি, আমি জানি। এই ভুলের মাফ নাই।’


গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রিপন মিয়াকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে এটিএন নিউজ। সেখানে রিপনের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘খুব কষ্ট করে (রিপনকে) মানুষ করছি, কিন্তু এখন পরিচয় দেয় না। আমরা গরিব। পরিচয় দিলে যদি ওর মানসম্মান না থাকে!’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন