সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা ও নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র আঞ্চলিক সড়ক এই রানীরহাট-বেড়খালি সড়কটি। তিনটি জেলার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ার কারণে বেড়খালি এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় ডাকাতদের নিরাপদ আশ্রয় স্থলে পরিণত হয়েছে। রাত হলেই সড়কটিতে বাড়ে ডাকাতের আতঙ্ক।
গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ঘটানো হয় হামলা, লুটে নেয়া হয় যাত্রীদের টাকা, গহনা এবং মোবাইল। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও গত ১৩ মাসে ঘটেছে রেকর্ড পরিমাণ ডাকাতির ঘটনা।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, গ্রামবাসীর চেষ্টায় আটক ৩
স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির মির্জা জানান, ডাকাতদের কারণে এই সড়কে একটি প্রবাদ চালু হয়েছে, ‘যে যায় বেড়খালী তার হয় পকেট খালি।’ ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশি কার্যক্রম কম থাকায় ডাকাত দল প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এর কারণে সন্ধ্যা নামলেই মানুষ ও পরিবহন চালকরা এই সড়কে চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন।
তানিয়া কলেজের শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, ‘এ পথে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা সন্ধ্যার পর আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে। সন্ধ্যার পর যদি কোনো দরকার পড়ে, তারা অন্য পথ ব্যবহার করে যেতে বাধ্য হয়। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। ডাকাতি রোধে পুলিশের টহল জোরদারের দাবি করছি।’
তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, রানীর হাট-বেড়খালি আঞ্চলিক সড়কটি ঘন জঙ্গল এবং জনবসতিহীন হওয়ায় এখানে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তবে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে জঙ্গল পরিষ্কার, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, গত ১৩ মাসে সড়কটিতে শতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ডাকাত গ্রেফতার হয়নি।
]]>