শেরপুরে আ.লীগ নেতা চন্দন পালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৩ দিন আগে
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. চন্দন কুমার পালের পাসপোর্ট জব্দ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে শেরপুর জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির রাষ্ট্রপক্ষের পিপির আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে তিনি এ আদেশ দেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এড. আব্দুল মান্নান।


আরও পড়ুন: নিজাম হাজারীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা


আদালত সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পাল সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ছয় মামলায় উচ্চ আদালত থেকে এবং সর্বশেষ অপর একটি মামলায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পায়। এরপর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। গুঞ্জন ওঠে, তিনি জামিনে মুক্তির পর দেশত্যাগ করছেন।


এ দিকে, ওই গুঞ্জন ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আবেদনে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা চন্দন কুমার পাল যে কোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে পারেন। তাই পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করা হয়। পরে আবেদনের বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন।


আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব সালাহ উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা


উল্লেখ্য, চন্দন কুমার পালের জামিন ও দেশত্যাগ ইস্যুতে জেলা জজ, পিপি ও জিপির অপসারণসহ সাত দফা দাবিতে সোমবার সকাল ৯টা থেকে শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মূলফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা।


পরিবেশ স্বাভাবিক করতে শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন