কেডিএ সূত্রে জানাযায়, সময় ও ব্যয় বাড়িয়েও শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না করে দিনের পর দিন ফেলে রাখায় গত ৭ আগস্ট তাদের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)।
সড়কটির বাকি কাজ শেষ করতে সংস্থাটি গত ২৪ আগস্ট নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেছে। তবে নতুন দরপত্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে সম্প্রতি আদালতে মামলা ও ৬০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আরবিট্রেটর নিয়োগ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে নিরাপত্তা জামানত বাজেয়াপ্ত করার আদেশের বিরুদ্ধেও তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেছিল। আদালত ওই টাকা কেডিএর অনুকূলে হস্তান্তর না করতে ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি: মহানগরে ১২০, জেলায় ৮৫৭ মণ্ডপে পূজা
২০১৩ সালের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয় ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৯ কোটি টাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আতাউর রহমান লিমিটেড অ্যান্ড মাহাবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডকে কেডিএ কার্যাদেশ দেয়। সড়কটি চার লেনে উন্নীত, দুই পাশে ড্রেন ও ফুটপাত, সড়কের মাঝে দশমিক ৯২ মিটার ডিভাইডার নির্মাণ, লবণচরায় ৬৬ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; মতিয়াখালীতে স্লুইসগেট ও কালভার্ট নির্মাণের কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের এক বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি।
প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কটি ঘুরে দেখাযায়, স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। নির্মাণ সামগ্রী পড়ে রয়েছে রাস্তার পাশে। গর্তে যানবাহনের চাকা পড়ে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের পারাপার হতে হচ্ছে রাস্তা। সড়কটি মেরামতের দাবিতে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এক যুগে ২০টিরও বেশি মানববন্ধন করেছেন। মন্ত্রী, উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয় ঘেরাওসহ অসংখ্য কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা। তবে এতকিছুর পরেও কেডিএ উদাসীন-ই থেকেছে বলে দাবি সড়ক ব্যবহারকারীদের।
আরও পড়ুন: খুলনায় চাষ হচ্ছে মরুভূমির ফল সাম্মাম
খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মো. আরমান হোসেন বলনে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর বিরুদ্ধে ঠিকাদার মামলা করেছেন। কেডিএর আইনজীবীদের মতামত ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।