শিক্ষকদের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

১৬ ঘন্টা আগে
সম্প্রতি আলোচিত শিক্ষক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং আসিফ মাহতাব উৎসকে হত্যার হুমকির ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। অভিযোগ উঠেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কৃত এক শিক্ষার্থী, সাফওয়ান চৌধুরি রেবিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহিংস হুমকি প্রদান করেন।

এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বুদ্ধিজীবী চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। ‘চবিয়ান দ্বীনি পরিবার’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন শিক্ষককে হত্যার হুমকি শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং শিক্ষাঙ্গন, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

 

চবি দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমাদের মূল্যবোধ রক্ষায় আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। শিক্ষককে হত্যার হুমকি একটি গুরুতর অপরাধ। অথচ এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এটা কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, এটা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের প্রশ্ন।’

 

আরও পড়ুন: ড. সরোয়ার ও আসিফ মাহতাবকে হত্যার হুমকি, শাস্তির দাবি জমিয়তের

 

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান আব্দুল্লাহ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের মুখপাত্র সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, অন্যান্য শিক্ষার্থী ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

 

মানববন্ধনে উত্থাপিত প্রধান দাবি:

  • ১. হুমকিদাতা এবং তার পক্ষে অবস্থান নেয়া ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা।
  • ২. ট্রান্সজেন্ডার ও এলজিবিটিকিউ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ‘মানসিক চিকিৎসা’র মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা।
  • ৩. সমকামীতা ও ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বিচার নিশ্চিত করা।

 

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগান দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: “আমরা সবাই সরোয়ার, মারবি তোরা কত আর?”, “সমকামিতার স্বীকৃতি অধিকার নয়, বিকৃতি।”, “ব্যক্তির জন্য অধিকার, বিকৃতির জন্য প্রতিকার।”

 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এ ধরনের হুমকিদাতাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক এবং শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন