কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। যে কারণে অতীতের যেকোনো ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচটা অনেকটা আলাদা। ম্যাচের আগে টসের সময়ই তা আচ করা গেছে। টসের সময় হাতও মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক।
এমন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট দিয়ে আসেন সাইম আইয়ুব। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বুমরাহ’র হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পরের ওভারেই ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। বুমরাহ’র বলে বড় শট খেলতে গিয়ে বল উপরে তুলে দেন হারিস, দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরেন হার্দিক।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির কারণে এনসিএলের দুই ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তন
৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তোলে পাকিস্তান।
অষ্টম ওভারে অক্ষর প্যাটেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল অনেক উপরে তুলে দেন ফখর জামান। অনেকটা দৌড়ে এসে বল তালুবন্দি করেন তিলক ভার্মা। ১৫ বলে ১৭ রান করে ফখর ফিরলে ভাঙে তাদের ৩৮ বলে ৩৯ রানের জুটি।
অধিনায়ক সালমান আলী আগাও টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। অক্ষর প্যাটেলের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে অভিষেক শর্মার হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৩ রান।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে চার ফাইনালে তোলা কোচকে নিয়োগ দিল ভারতের রাজ্য দল
এরপর পাকিস্তানের দুই নাওয়াজ ফেরেন দ্রুতই। হাসান নাওয়াজ আউট হন ৭ বলে ৫ রান করে। কুলদীপের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। মোহাম্মদ নাওয়াজ ফিরেছেন কোনো রান না করেই। ৪৪ বলে ৪০ রান শাহিবজাদা ফারহানকে ফেরান কুলদীপ যাদব। তার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দেন শাহিবজাদা।
ফাহিম আশরাফও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ভরুণ চক্রবর্তীর বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ১৪ বলে ১১ রান করা এই ব্যাটার। সুফিয়ান মুকিম আউট হন বুমরাহ’র বলে বোল্ড হয়ে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১০ রান। শেষদিকে ১৬ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শাহিন আফ্রিদি। তার এই ক্যামিওতেই সম্মান বাঁচে পাকিস্তানের।
ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব নেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট শিকার করেন বুমরাহ ও অক্ষর প্যাটেল। ভরুণ ও হার্দিক নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
]]>