বিসিসিআই'র প্রভাবে আসলেই কোনঠাসা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অনড় অবস্থানে থাকলেও শেষ পর্যন্ত মচকাতেই হচ্ছে পিসিবিকে! ভারতকে নিজ দেশে আনতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলেই আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পাকিস্তান।
অনেকটা নিরুপায় হয়েই এই পথে হাঁটার পরিকল্পনায় মহসিন নাকভির বোর্ড। কারণ আইসিসিতে ভারতের প্রভাব এতটাই যে প্রয়োজনে পাকিস্তানকে মাইনাস করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে বিন্দুমাত্র সময় নেবে না বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সব কিছু হারানোর চাইতে অন্তত কিছুটা পেতেই শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেল মেনে নিচ্ছে পিসিবি।
আরও পড়ুন: ভারতকে বাদ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের ভাবনা!
পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে রাজি হলেও আইসিসিকে দিতে চলেছে বেশ কিছু শর্ত! যার প্রথমটা হচ্ছে ভারত যেহেতু পাকিস্তান সফরে রাজি নয়, তাই ভবিষ্যৎ টুর্নামেন্টগুলোতে পাকিস্তানও ভারত যাবে না। তার মানে দাঁড়াচ্ছে ২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও এই শর্তে আইসিসি রাজি হবে কি'না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল নিয়েও আলাদা প্রস্তাবনা থাকতে পারে পিসিবির। একেবারে ফাইনাল পর্যন্ত ভারত টিকে থাকলে সেই ম্যাচ হবে পাকিস্তানের বাইরে। কিন্তু ভারত সেমিফাইনালে বাদ পড়ে গেলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ নিজ দেশে করতে চায় পিসিবি। এছাড়াও টিকিট বিক্রি এবং রেভিনিউ শেয়ার নিয়েও আলাদা প্রস্তাবনা আছে পাকিস্তান ক্রিকেটের।
আরও পড়ুন: ডারবান টেস্টে বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকতের বাজিমাত
শনিবার সদস্য দেশগুলো নিয়ে এই বিষয়ে আরো একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসার কথা ছিলো আইসিসির। তবে পিসিবির পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায় বৈঠক হয়নি। আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে বল এখন পাকিস্তানের কোর্টে ঠেলে দিয়েছে আইসিসি। আর তাই পাকিস্তান যে দিন সময় দেবে সে অনুযায়ীই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ধারণা করা হচ্ছে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে সোমবার।
এদিকে, ১ ডিসেম্বর আইসিসির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন জয় শাহ। এর ফলে পাকিস্তানের অবস্থান আরো নড়বড়ে হবে তা বলাই যায়। তবে যেহেতেু পাকিস্তানও ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী স্টেকহোল্ডার তাই, তাদেরও একেবারে মাইনাস করতে চায়না আইসিসি। কিন্তু স্বার্থ রক্ষার কথা বলা হলে সবার আগে ভারতের বিষয়টাই বিশ্ব ক্রিকেট প্রাধান্য দেয় সে বিষয়ে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই।
]]>