আল্লাহতায়ালা বলেন,
যে ব্যক্তি স্বীয় প্রভুর দর্শন লাভের আশা করে, সে যেন নেক কাজ করে এবং ইবাদতে কাউকে শরিক না করে (সুরা কাহফ: ১১০)। আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, নামাজিদের জন্য দুর্ভোগ, যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে (সুরা মাউন: ৪-৬)।
হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
রিয়া হলো ছোট শিরক। আমি আমার উম্মতের জন্য ছোট শিরকের ভয় সবচেয়ে বেশি করি। কেয়ামতের দিন রিয়াকারীদের ডেকে বলা হবে, তোমার যে উদ্দেশ্যে ইবাদত করেছিলে, এখন তাদের কাছেই প্রতিদান চাও।
রিয়া ইবাদতকে ধ্বংস করে। ইবাদতকারীকে দোজখের পথে নিয়ে যায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্য ইবাদত করে, আল্লাহ তা কবুল করেন না। উদাহরণস্বরূপ, এক ব্যক্তির ইবাদত, দান-খয়রাত বা বিদ্যার্জন যদি শুধু মানুষের প্রশংসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং তার পরিণতি হবে জাহান্নাম।
আরও পড়ুন: অন্তর মরে যাওয়ার ৬ কারণ
রিয়া থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ইখলাস বা একনিষ্ঠতা। নিচে কয়েকটি করণীয় উল্লেখ করা হলো: আশা-আকাঙ্ক্ষার নিয়ন্ত্রণ: লোকের প্রশংসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করুন। ইখলাস অর্জন: আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করুন। ইখলাস রিয়াকে দূর করে। নফস ও শয়তানকে দমন: শয়তানের প্ররোচনা প্রতিরোধ করে তার বিপরীত কাজ করুন। আত্মার পরিশুদ্ধি: তাজকিরায়ে নফস বা আত্মার পরিশুদ্ধি রিয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে।
দোয়া করা: আল্লাহর কাছে রিয়ামুক্ত জীবনের জন্য দোয়া করুন। রসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, হে আল্লাহ, আমাকে রিয়া, মিথ্যা ও চোখের খিয়ানত থেকে রক্ষা করো।
রিয়া একটি মারাত্মক অন্তরব্যাধি। এটি শুধুমাত্র আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ নয়, বরং ইবাদতকারীকে ধোঁকা দেয়। তার আমলকে ধ্বংস করে। তাই, আসুন আমরা আল্লাহর কাছে রিয়ার মতো গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি এবং ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি।
]]>