ড্রাইভার না হয়েও ড্রাইভিং সিটেই। টাইগারদের কাছে জাতীয় দলের বর্তমান কোচিং প্যানেলের আস্থার বড় নাম। ক্রিকেটারদের যিনি চেনেন নিজ হাতের তালুর মতোই। ২০২৪ সালের গড়পরতা বছরের সবশেষ সিরিজে টাইগারদের ব্যাটে স্বস্তি যতটুকু তার নেপথ্যের অনুঘটকদের একজন সালাউদ্দিন।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দুশ্চিন্তার ঈশান কোণে যতটুকু মেঘ, তা সরানোর গুরুদ্বায়িত্বও তার কাঁধেই। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটি অ্যাপ্রোচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক। তবে ইতিবাচক সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, 'ব্যাটিংয়ে আসলে সন্তুষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা আমাদের এখনও আসেনি। তবে ছেলেদের মানসিক দিকের উন্নতির চেষ্টা করেছি। পুরো সিরিজে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর) এটাই আমার কাছে ভালো লেগেছে, তাদের অ্যাপ্রোচ অনেকটাই বদলেছে। কোন উইকেটে কোন ধরনের শট খেলতে হবে, সেই বিষয়গুলো আমরা যত তাড়াতাড়ি রপ্ত করতে পারব, ততই আমাদের জন্য বেটার পারফরম্যান্স করতে সুবিধা হবে।'
আরও পড়ুন: টাইগারদের অধিনায়কত্ব নিতে প্রস্তুত মিরাজ
তিনি আরও বলেন, 'গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বের হয়ে এসে আমার মনে হয় এই জায়গাগুলোতে উন্নতি করা জরুরি এবং ছেলেরা বিশেষ করে মানসিক দিক থেকে কীভাবে আরও ভালো চিন্তা করতে পারে, বেটার থিংকার ক্রিকেটার হতে পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করছি।'
বিসিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই আপাতত শেষ অ্যাসাইনমেন্ট সালাউদ্দিনের। গুঞ্জণ আছে টুর্নামেন্ট শেষে তাকে হেড কোচ বানাতে চায় বোর্ড। তবে সেসব নিয়ে আপাতত ভাবেননা তিনি। বড় স্বপ্ন দেখেন মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্ট নিয়ে।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা উপরওয়ালা জানেন। আমি এটা নিয়ে আসলে খুব বেশি কনসার্নও না। আমি যখন যে কাজটা করি, সেটাই মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। এখন আর ওই যুগ নাই যে আমরা শুধু ভালো খেলার জন্য যাব। কেননা আমার মনে হয়, এখন থেকেই আমাদের চিন্তাভাবনা বদলাতে হবে, আমাদের ভালো করতেই হবে। আমরা ওই স্টেজে চলে আছি যেটা ভালো পারফরম্যান্স ডেলিভারি করার।'
তবে সেখানে দুশ্চিন্তার নাম লিটন-শান্তের অফফর্ম। সবশেষ সিরিজে রানে ছিলেন না লিটন, রানে নেই বিপিএলেরও। শান্তর অবস্থাও একই। অবস্থাটা এমন টাইগার অধিনায়ক বাদ পড়েছেন বিপিএলের বরিশালের একাদশ থেকেও। অবশ্য এ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন না টাইগার কোচ।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের আহ্বান
সালাউদ্দিন বলেন, 'এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তারা এতদিন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, তারা জানে কীভাবে তাদের (ফর্মে) ব্যাক করতে হবে। তারা কীভাবে রানে ফিরবে -সেটার জন্য তাদের হয়ত একটু ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যটা আসলে আপনি কতদিন ধরবেন সেটা প্লেয়ারের ইন্ডিভিজুয়াল চিন্তার ওপর নির্ভর করে। আবার এখান থেকে বের হওয়ার অনেক সুযোগ আছে এবং যখন সে বের হবে তখন লম্বা সময় ধরে ভালো খেলবে।'
তবে ক্যারিবিয়ান সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে মিরাজ-লিটনকে ফুল মার্কসই দিলেন সালাউদ্দিন। তার পরামর্শ যাকেই অধিনায়ক করা হোকনা কেন, তা যেন হয় দীর্ঘ মেয়াদে।