লতিফ সিদ্দিকী পাকিস্তান আমলে প্রায় ৪০ বার জেলে গিয়েছে: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

১ সপ্তাহে আগে
ডিবি হেফাজতে থাকা বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, পাকিস্তান আমলে লতিফ সিদ্দিকে প্রায় ৪০ বার জেলে গিয়েছে। বাংলাদেশের আমলেও কয়েকবার জেলে গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসা সোনার বাংলায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

কাদের সিদ্দিকী বলেন, যে কোনো কারণে গ্রেফতার দেখালে কোনো আপত্তি নাই। তারা মিথ্যাও দেখাতে পারে। কিন্তু গ্রেফতার না দেখিয়ে একজন স্বাধীন নাগরিককে এক মিনিটের জন্য কোথাও আটক যায় না। লতিফ সিদ্দিকীর নামে কোনো ঋণ খেলাপী বা কোনো মামলা নেই। আইনানুগভাবে সরকার চললে আমরা আইন দিয়েই মোকাবেলা করবো।

 

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ডিআরইউতে একটি মঞ্চ ৭১’র সেমিনারে ডক্টর কামাল হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এডভোকেট জেডআই খান পান্নাও অতিথি ছিলেন। সেই সময় কিছু মানুষ গিয়ে মব সৃষ্টি করে তাদের অনুষ্ঠান বানচাল করেছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কারোর অনুষ্ঠান বানচাল করা কোনো সাংবিধানিক বা আইনানুগ কোনো সুযোগ নেই। তাদের এখনও ডিবি অফিসের রাখা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলকে অন্তত ২৫ বার ফোন দিয়েছি, ধরেননি: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

 

তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে আমরা রাজনীতিতে আসতাম না। ২৪ আগষ্টের বৈষম্যবিরোধীর আন্দোলনের বিজয় আমি স্বাধীনতার কাছাকাছি আমি মনে করি। সেই বিজয়ের সাফলতা কামনা করি। কিন্তু সেই বিজয়ী বীরদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের এই বিজয় হাজার বছর চিরস্থায়ী হবে। কিন্তু এক বছরের এই বিজয় ধংসের দিকে চলে যাবে সেটা আশা করি নাই। আওয়ামী স্বৈরাচারের চাইতে এই স্বৈরাচারতো অনেক বড় স্বৈরাচার। মানুষকে কথা বলতে দিচ্ছে না, মত প্রকাশ করতে দিচ্ছে না।

 

তিনি আরো বলেন, প্রথমেই কাদেরিয়া বাহিনীর একটা ঐকের চেষ্টা করছি। এটাতে আমরা সাফল্য অর্জন করবো। ২৪শের অবদান আমাদেরও কম নাই। ২৫ বছর আমরা শেখ হাসিনার অবস্থা, কাজ কর্ম যে সমালোচনা করেছি বৈষম্যবিরোধী নেতারা সেটা করেনি।

 

আরও পড়ুন: আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম যতদিন বাঁচবো তারই থাকবো: বঙ্গবীর কাদের

 

দেশের মব সৃষ্টি করা, দেশকে অরাজক করা, দেশের আইনশৃঙ্খলার পতন ঘটনো, আমরা অন্তবর্তিকালীন সরকারকে বলবো আপনারা না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ১২-১৩জন ছেলে গিয়ে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বাসার সামনে গিয়ে নাচানাচি করছে। এটা ভাল কথা না। তাকে পাগল বলবেন সে কিচ্ছু বলবে না এটা হয় না। ছাত্র আন্দোলনে তার যথেষ্ট অবদান আছে। আজকাল যারা কথা বলছেন তাদের কথায় কোনো শালিনতা নেই। এটা সামাজিক অবক্ষয়। এখান থেকে আমরা দেশকে ফেরাতে না পারি তাহলে এটা জঙ্গলের দেশ হবে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন