ভারতের ক্রিকেটে শেষ হলো রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বের যুগ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আর মাঠে নামেননি হিটম্যান। সেখানেই ওয়ানডেতে রোহিতের শেষ দেখে ফেলেছিলেন ভক্তরা। ধারণা করা হচ্ছিল, ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে হয়তো পরিবর্তন করা হবে ক্যাপ্টেন্সি। তবে, হঠাতই রোহিতকে সরিয়ে ওয়ানডেতে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেয়া হলো শুভমান গিলকে। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুসছেন রোহিত ভক্তরা।
লম্বা সময় ধরে গুঞ্জন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই অবসরের ঘোষণা দেবেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ক্যাপ্টেন্সি হারানোর পর সে গুঞ্জন মেলে ডালপালা। ফর্ম ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় এখনো ইন ফর্ম হিটম্যান। তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাও। আর অধিনায়কত্ব বদলের পর নির্বাচক অজিত আগারকারের মন্তব্যে ফুটে ওঠে রোহিতকে বিশ্বকাপে না রাখার আভাসও। এরপরই প্রশ্ন ওঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে থাকবেন তো রোহিত শর্মা?
টেস্টের পর ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পাওয়া শুভমান গিল এবার মুখ খুললেন রোহিত কোহলির ভবিষ্যত নিয়ে। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে এই দুই কিংবদন্তি থাকবেন কিনা তা নিয়ে এবার ইতিবাচক উত্তর মিললো গিলের কাছ থেকে। নির্বাচকের কথার উল্টো সুর এবার শুভমানের কণ্ঠে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় আছেন দুই সিনিয়র ক্যাম্পেইনার। রোহিত, কোহলিকে নিয়েই সাজানো হচ্ছে বিশ্বকাপ জয়ের ছক। শুধু তাই নয়, এই দুইজনের দলে থাকা নির্ভার করবে গিলকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুভমান গিল বলেন, ‘রোহিত, বিরাটের যে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা রয়েছে তা খুব কম ক্রিকেটারেরই থাকে। খুব কম ক্রিকেটারই তাদের মতো এত ম্যাচ জেতাতে পেরেছে ভারতকে। এই দক্ষতা, মান এবং অভিজ্ঞতা বিশ্বের খুব বেশি খেলোয়াড়ের নেই। তাই বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় তারা খুব ভাল ভাবেই আছেন। রোহিত ভাইয়ের থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তার সবচেয়ে বড় গুন হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা। যে ভাবে গোটা দলের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব তৈরি করে সেটা আমারও ইচ্ছা। এই গুণগুলোও আমি তার থেকে নিতে চাই।’
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সিস্টেমেই ক্যানসার ঢুকে গেছে: স্যামি
এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের মাঝ পথে হঠাতই অধিনায়ত্ব পান শুভমান গিল। টেস্টের পর ওয়ানডের দায়িত্ব পাওয়া গিল নিজেও জানতেন না ক্যাপ্টেন্সি পাওয়ার বিষয়টি। দায়িত্ব পেয়ে এবার সব ট্রফি জয়ের প্রত্যাশা তার।
তিনি বলেন, ‘আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি। তবে যতটা সম্ভব বর্তমানে বাঁচতে চাই। আগে আমি কী করেছি বা দল কী সাফল্য পেয়েছে সে সব মাথায় রাখতে চাই না। আগামী কয়েক মাসে সব ট্রফি জিততে চাই। টেস্ট ম্যাচের মাঝে ঘোষণা করা হল আমি অধিনায়ক হয়েছি। এর আগে খুব বেশি কিছু জানতাম না। নিঃসন্দেহে এটা সম্মানের। একই সঙ্গে অনেক দায়িত্বের কাজ। নতুন ফরম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আমি। গেল কয়েকটা মাস খুব ভালো কাটিয়েছি।’
আরও পড়ুন: জাতীয় দলের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মোটা অঙ্কের প্রস্তাবেও না কামিন্স ও হেডের
]]>