রুশ ক্ষেপণাস্ত্রেই আজারবাইজানে বিমান বিধ্বস্ত, ১০ মাস পর পুতিনের স্বীকার

১৯ ঘন্টা আগে
প্রায় ১০ মাস আগে আজারবাইজানে যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তিনি বলেন, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছোঁড়া গুলিতেই আজারবাইজানের যাত্রীবাহী বিমানটি ভেঙে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে সাবেক সোভিয়েত দেশের সম্মেলনে যোগ দিয়ে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাতে এই মন্তব্য করেন পুতিন।

 

গত বছর ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বাকু থেকে রওনা দিয়েছিল রুশ প্রজাতন্ত্র চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনির উদ্দেশে। কিন্তু মাঝ আকাশেই সেটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিমানটি পশ্চিম কাজাখস্তানে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে, কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৮ জন, বেঁচে যান ২৯ জন।

 

দুর্ঘটনার কিছুদিন পর পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভকে ফোন করে ঘটনাটিকে 'দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা' বলে আখ্যা দেন এবং দুঃখপ্রকাশ করেন। তবে সে সময় তিনি দায় স্বীকার করেননি।

 

আরও পড়ুন: ভারতীয়রা কখনোই অপমান সহ্য করবে না, কেন বললেন পুতিন?

 

রুশ প্রতিরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রোজনি বিমানবন্দরের কাছে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা ঠেকাতে বিমানবিধ্বংসী ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। সেই সময়ই আজারবাইজানের ওই যাত্রীবাহী বিমানটি একাধিকবার অবতরণের চেষ্টা করে। তবে তারা কোথাও এটা বলেনি যে, ওই বিমানে আগুন লেগেছিল ক্ষেপণাস্ত্র থেকে।

 

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানিয়েছিলেন, বিমানটির গায়ে প্রচুর ছিদ্র পাওয়া গিয়েছে এবং যাত্রীরা মাঝ আকাশেই ‘বহিরাগত কিছুর আঘাত’ জখম হন।

 

সেই সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের কাছে রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া ‘দুঃখজনক ঘটনার’ জন্য ক্ষমা চান। তবে এবার পুতিন ওই হামলার দায় স্বীকার করলেন।

 

একইসঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করা হবে এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

 

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, পুতিনের হুঁশিয়ারি

 

বৃহস্পতিবার আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের ড্রোন লক্ষ্য করে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজারবাইজানের বিমানের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়। দুটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমানটির মাত্র ১০ মিটার দূরে বিস্ফোরিত হয়েছিল।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেবে এবং দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ কথাগুলো নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি নৈতিক সহায়তা হলেও আমরা যাদের হারিয়েছি, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারব না।’

 

এসময় ইলহাম আলিয়েভ রুশ প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আপনি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারক করছেন-এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন