রাশিয়াকে কেবল শক্তির মাধ্যমে চুক্তিতে বাধ্য করা সম্ভব, যা ট্রাম্পই পারেন

২০ ঘন্টা আগে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ আগস্ট) ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। এই বৈঠককে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। খবর বিবিসি’র।

 

তবে তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জেলেনস্কি কিথ কেলগকে বৈঠকের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, 

রাশিয়াকে কেবল শক্তির মাধ্যমেই শান্তিতে (চুক্তি) আসতে বাধ্য করা যেতে পারে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই শক্তি আছে।

 

ইউক্রেন ‘যুদ্ধের অবসান এবং নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত’ বলেও জানান জেলেনস্কি।

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবকিছু ঠিকঠাক করতে হবে যাতে সত্যিই শান্তি আসে। ইউরোপের একটি দেশের জন্য শান্তি নিয়ে আলোচনা করার অর্থ পুরো ইউরোপের জন্য শান্তি নিয়ে আলোচনা।’ 

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদিকে পুতিনের ফোন!

 

প্রসঙ্গত, আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পর থেকে স্থায়ী শান্তিচুক্তির কথা বলে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে। সোমবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকেও আলোচনার বড় অংশ জুড়েই থাকতে পারে এই ভূখণ্ড ছাড়ের বিষয়টি। 

 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দনবাসকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলে চাপের মুখেই পড়বেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এখন পর্যন্ত রাশিয়া দনবাসের যে অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেই অংশ ছেড়ে দিতে হতে পারে ইউক্রেনকে–এমন শঙ্কাও চাপে ফেলছে জেলেনস্কিকে। 

 

বিবিসি ও রয়টার্সের মানচিত্র বিশ্লেষণ বলছে, লুহানস্কের শতভাগ আর দোনেৎস্কের শতকরা ৭৫ ভাগ, সব মিলিয়ে দনবাসের ৮৮ শতাংশই এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। নতুন এই নিয়ন্ত্রণ রেখা জেলেনস্কির কৌশলগত অবস্থান দুর্বল করার পাশাপাশি জটিল করে তুলছে সামরিক ও কূটনৈতিক অবস্থানও।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন