রাশিয়া-আফগানিস্তান বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা?

২ দিন আগে
স্বীকৃতির পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আফগানিস্তান। আলোচনায় বসেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। এসময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি বিদেশি সামরিক ঘাঁটি নিয়েও আলোচনা হয়।

সম্প্রতি আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এরপর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশ কয়েকবার পরোক্ষভাবে আলোচনা হয়। স্বীকৃতির পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আফগানিস্তান। 

 

আলোচনায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, আফগানিস্তানে মাদক, সন্ত্রাস আর সংগঠিত অপরাধ দমনে মস্কো সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত। আফগানদের জন্য শান্তিপূর্ণ জীবন গড়ে তুলতে সব ধরনের সহায়তা দেবে রাশিয়া। 

 

আর তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগান আমিরাতকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য মস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

 

আরও পড়ুন: ভারত সফরে যাচ্ছেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূ-রাজনীতিতে নতুন মোড়!

 

এসময় বিতর্কিত ইস্যু বাগরাম ঘাঁটি নিয়েও স্পষ্ট বার্তা দেয় তালেবান। মুত্তাকি জানান, কোনো পরিস্থিতিতেই আফগানিস্তানের মাটিতে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি অনুমোদন করা হবে না। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো বাগরাম বিমান ঘাঁটিও রয়েছে। 

 

রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ নিশ্চিত করেন, আফগানিস্তানে ঘাঁটি খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই মস্কোর।

 

অন্যদিকে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান দরকার বলে এক বৈঠকে রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তান একসঙ্গে বৈঠকে ঘোষণা দেয়। পাকিস্তানের বিশেষ দূত বলেন, সব দেশ মিলে সমন্বিত পদক্ষেপ নেবে সন্ত্রাস দমনে। একইসঙ্গে আফগান মানবিক সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

 

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পুনরায় খোলার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন প্রশ্ন সামনে এলেও, বিদেশি সামরিক উপস্থিতি না দেয়ার ইস্যুতে রাশিয়া-তালেবান একসঙ্গে অবস্থান নেয়ায় তৈরি হলো নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন