সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ অবস্থান ধর্মঘট করেন। এ সময় একাডেমিক কার্যক্রমসহ ক্লাস বন্ধ থাকবে তবে পরীক্ষা ও জরুরি কার্যক্রম চলবে।
অবস্থান ধর্মঘটে বক্তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা তাদের ন্যায্য অধিকার। তাদের সন্তানরা সব শর্ত মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ৫ শতাংশ কোটার প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার বহাল চান। তাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো: পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবার জন্য আবাসিকতার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ ছাড়া শিক্ষাও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বলেও ঘোষণা দেন বক্তারা। দাবি আদায় না হলে আগামীকাল পূর্ণ দিবস ধর্মঘট পালন করা হবে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: রাবিতে পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট
এর আগে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গত ২ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাবির প্রশাসন ভবনে তালা মেরে দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টায় পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।
কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, এই ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
]]>