রাতে ঘুমিয়েও ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায় যেসব আমলে

২ সপ্তাহ আগে
মহান আল্লাহর কাছে রাতের আমল পছন্দনীয়। যে ব্যক্তি রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহ তার প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়াও রাত জেগে দোয়া, জিকির ও তেলাওয়াতে কাটানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

একজন মানুষের জন্য সারারাত জেগে আমল করা খুবই কঠিন। সেটা আবার প্রতিদিন জেগে থেকে আমল করা তো আরও কঠিন। তবে কেউ যদি কিছু আমল করে তাহলে আল্লাহ তাকে সারারাত জেগে আমল করার সওয়াব দিবেন। প্রতিদিন করলে প্রতিদিন দিবেন। সে আমলের ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

 

مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ كَقِيَامِ نِصْفِ لَيْلَةٍ وَمَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ كَقِيَامِ لَيْلَةٍ

 

যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করবে, সে অর্ধেক রাত ইবাদত করার সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সাথে আদায় করবে, সে পুরো রাত ইবাদত করার সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ ৫৫৫)

 

আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়া কি কিয়ামতের আলামত!

 

এরকম আরও বেশ কিছু আমলে আল্লাহ একটার বিনিময়ে আরেকটার সওয়াব দিয়ে থাকেন। যেমন কেউ যদি ফজরের পরে ইশরাক নামাজ আদায় করে তাহলে প্রথম দুই রাকাতের জন্য ওমরাহ ও দ্বিতীয় দুই রাকাতের জন্য হজের সওয়াব পাওয়া যাবে। (তিরমিজি ৫৮৬)

 

আল্লাহ তার বান্দাদের নেক আমল সহজ করার জন্য এভাবে সওয়াব দিয়ে থাকেন। এ বিষয়টা এক হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমরা একবার রসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলি, হে আল্লাহর রসুল, ধনী ব্যক্তিরা সওয়াবের ক্ষেত্রে আমাদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তারা হজ করেন, আমরা হজ করি না। তারা সংগ্রাম-যুদ্ধে শরিক হন, আমরা শরিক হতে পারি না।

 

তখন রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 

 

আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা বলবো যেটা তোমরা করলে তারা যে আমল করে তারচেয়ে বেশি সওয়াব পাবে? সেই আমল হলো প্রতি নামাজের পর তোমরা ৩৪ বার আল্লাহু আকবার, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ও ৩৩ আলহামদুলিল্লাহ পড়ো। (মুসনাদে আহমদ ১১১৫৪)

 

সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়া

 

নিরাপত্তার জন্য এ সুরাগুলোর আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস ৩বার পড়বে; এগুলোই তার সবকিছুর (নিরাপত্তার) জন্য যথেষ্ট হবে।’ হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এ সুরার অনেক বৈশিষ্ট্য ও প্রাপ্তির কথা উঠে এসেছে-

 

আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে যেসব আমল করবেন


আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, 

 

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন এবং উভয় হাতে ফুঁক দিতেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (বুখারি)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন