শহরের প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারের আশপাশে রাস্তার ওপরে বসেছে অবৈধ দোকানপাট। এছাড়া বিনোদপুর, লক্ষ্মীপুর, সাগরপাড়া, কোর্ট স্টেশন, শালবাগান থেকে শুরু করে প্রতিটি মোড়ের অবস্থা একই।
বগুড়ার কাঁঠলতাল ৭০ বর্গ কিলোমিটার ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। শহরের সাতমাথা, থানার মোড়, নাববাড়ী সড়কে দেখা মেলে অন্তত ৪শ’ দোকান। এছাড়া নওগাঁর বালুডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, গোস্ত হাটির মোড়, ব্রিজ মোড়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠেছে।
এসব দোকান থেকে নিয়মিত তোলা হয় চাঁদা। নাটোর ও সিরাজগঞ্জ শহরের এস এস রোডের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ফল, পোশাক ও ফার্নিচারের দোকান। এতে পথচারীদের চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করায় রাস্তায় প্রায়ই সময় যানজট লেগে থাকছে। এ বিষয়ে প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। তবে নানা অজুহাত দেখালেও অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার কথা স্বীকার করেছেন দখলদাররা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চাঁদাবাজের তালিকায় রাজনৈতিক দলের ১২৩ নেতার নাম
এদিকে, ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে লক্ষাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানপাট। অধিকাংশ দোকান থেকে মোটা অংকের টাকা মাসোয়ারা নেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।