বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি ‘সমতায়-গণতন্ত্রে, নিরাপদ ক্যাম্পাস’ স্লোগানে ইশতেহার প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ নব্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রাম ও শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে রাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
ইশতেহারে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা থেকে প্রেরণা নিয়ে ক্যাম্পাসে সমঅধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন: প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি প্রার্থীদের, জমে উঠেছে প্রচারণা
ইশতেহারে ঘোষিত ১৬ দফা মূল অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে—
রাকসুর কাঠামো সংস্কার ও ক্ষমতা বৃদ্ধি
শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ
গবেষণায় অগ্রাধিকার ও বাজেটের ১০ শতাংশ বরাদ্দ
হলে দখল-সন্ত্রাস বন্ধ ও র্যাগিং নিষিদ্ধ ঘোষণা
লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রবেশাধিকার
হলে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের মানোন্নয়ন
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ
নারীবান্ধব ও সাইবার নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠন
পরিবেশ সুরক্ষা, গাছ সংরক্ষণ ও মুক্ত পরিসর রক্ষা
এবং ৭৩-এর অধ্যাদেশ সংশোধনসহ প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি
আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন ঘিরে আবারও সরব রাবি ক্যাম্পাস, কাটেনি প্রার্থীদের শঙ্কা
সংগঠনটি জানায়, ‘শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রবিন্দু, প্রশাসন নয়’—এই নীতিতে বিশ্বাস রেখে তারা রাকসুকে শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়।
রাকসুকে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলা, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ ও সমতার ভিত্তিতে নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।