গত ৩৫ বছর নির্বাচন না হলেও, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে হল সংসদ বাবদ ৩০ এবং রাকসু বাবদ ১৫ টাকা করে ফি নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ছাত্র সংসদ ফান্ডের ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। ২০১২-১৩ সেশনে সেশনে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪৯ লাখ টাকা রাকসু ফান্ড থেকে লোন নিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২১ সালে সে সময়কার প্রশাসন একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন বাবদ ১২ লাখ টাকা ব্যয় করেছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, এক যুগ হয়ে গেল রাকসু তহবিলের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ফেরত দেয়নি প্রশাসন। এছাড়াও তহবিলের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক এই বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের ২৮ নেতাকর্মী নিলেন রাকসু নির্বাচনের ফরম
রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান জানান, নির্বাচনের ব্যয় সংক্রান্ত কোনো বাজেট পাশ করেনি কমিশন। তাদের ধারণা ৩০ লাখ টাকার ব্যালটসহ মোট ব্যয় হবে ৮৫ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, রাকসুর সভাপতি মাননীয় উপাচার্য এখনো এ বিষয়ে আমাদেরকে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। নির্বাচনের জন্য কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলাদা কোনো বরাদ্দ দেবে, নাকি রাকসুর নিজস্ব ফান্ড থেকেই খরচ করা হবে, সেটি আরো কিছুদিন পরে জানাতে পারবো। এখন যে খরচ হচ্ছে, তা রাকসু ফান্ড থেকে করা হচ্ছে।
রাকসু দুতলা ভবনে ১০ টি সাংস্কৃতিকসহ মোট ১২ সংগঠন কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের কোথায় পুনর্বাসন করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। এনিয়ে ক্ষুব্ধ সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রাবির ৫ সাংস্কৃতিক সংগঠন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে হল সংসদ ফি বাবদ ৩০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করতে হয়। রাকসু ফান্ডের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলেও হল সংসদ ফি-এর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচনে ১৭টি হলের মোট ভোটার অন্তত ২৫ হাজার।
]]>