গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়, মিতু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে পরিবারের লোকজন এসে দেখেন মরদেহ খাটিয়াতে রাখা হয়েছে এবং গলায় ফাঁস দেয়ার কোনো চিহ্ন নেই।
মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহত গৃহবধূর পরিবার। ঘটনার পর থেকে নিহত মিতু আক্তারের শ্বশুর, স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক ছিল।
এ ঘটনায় নিহত মিতুর বাবা মেনাজুল হক গত ১ অক্টোবর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানায় চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: জিনের ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের অভিযোগ মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল বাতেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি সোহান মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরে ৪ অক্টোবর ভোরে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের সহায়তায় মিলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে কোতয়ালি থানায় আনা হয়।
স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকে পুত্রবধূ মিতু আক্তারের ওপর শ্বশুর রাজা মিয়ার কুনজর পরে। বাড়িতে একা পেলেই শ্বশুর মিতু আক্তারকে যৌন নিপীড়ন করত।
আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনে ব্যর্থ হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
শ্বশুরের লালসার শিকার ভুক্তভোগী মিতু তার স্বামী সোহানসহ পরিবারের অন্যদের জানালেও তারা কোনো প্রতিকার করেনি। বরং এই ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী মিতু আক্তার অতিষ্ঠ হয়ে শ্বশুরের যৌন হয়রানির ঘটনা গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। সেই ভিডিও তার ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে গৃহবধূ মিতুর ওপর নির্যাতন বেড়ে যায়।