বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইসরাইল এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে বুধবার একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এর মধ্যস্থতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের কূটনীতিকরা। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরপরই ১৪ মাসের লড়াইয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষ দক্ষিণ লেবাননে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুন:যুদ্ধবিরতিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জয়’ বলল হিজবুল্লাহ
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সীমান্ত এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ফিরে না আসার আহ্বান জানিয়েছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্ত বরাবর ছয়টি এলাকায় ইসরাইলি সেনারা হামলা চালায়। লেবাননের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং দেশটির নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরাইলের গোলা মারকাবা, ওয়াজ্জানি, কাফারচৌবা, খিয়াম, তাইবে এবং মারজায়ুনের আশেপাশের কৃষি জমিতে আঘাত হানে। যার সবকটিই লেবানন এবং ইসরাইলের মধ্যে সীমানা চিহ্নিতকারী নীল রেখার দুই কিলোমিটারের মধ্যে। একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, মারকাবায় হামলায় দুজন আহত হয়েছেন।
এদিকে চুক্তির পর দক্ষিণ সীমান্তের কাছে বাস্তুচ্যুত লেবাননের পরিবারগুলো তাদের সম্পদ ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু ইসরাইলি সৈন্যরা লেবাননের ভূখণ্ডে সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে অবস্থান নিয়ে রেখেছে। রয়টার্সের সাংবাদিকরা দক্ষিণ লেবাননের কিছু অংশের উপর নজরদারি ড্রোন উড়তেও দেখেছেন বলে জানান।
ইসরাইলের এই হামলার বিষয়ে হিজবুল্লাহ কোন মন্তব্য করেনি।
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ইসরাইলি বাহিনীকে দক্ষিণ লেবানন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কিন্তু এ সময় কোনও পক্ষই আক্রমণাত্মক অভিযান শুরু করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:কেক মিষ্টি খাইয়ে লেবাননে যুদ্ধবিরতি উদযাপন
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে বাসিন্দাদের সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামে ফিরে আসতে না দেয়া হয়।
তবে এর আগে বুধবার লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি জানান যে, বাসিন্দারা বাড়ি ফিরতে পারবে। স্পিকার বেরি চুক্তির বিষয়ে সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন।